দশমিনা সংবাদদাতা
ভূমিদস্যু উজির-নাজির বাহিনীর অব্যাহত হুমকি ও হামলা মামলা ভয়ে পটুয়াখালীর দশমিনায় ২১ ভূমিহীন পরিবার বসতি ছাড়া এক পরিবার জিম্মি রাখার অভিযোগ। জানা গেছে, তেঁতুলিয়া নদী গর্ভে উপজেলার দূর্গম চরবোরহানে ভূমিহীনদের জমির দখল নিতে ভূমিদস্যু উজির সরদার ও নাজির সরদার সহদর বাহিনী ২২ ভূমিহীন পরিবারকে চর ছেড়ে যাওয়ার অব্যাহত হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। ভুক্তভোগী ভূমিহীনরা জানায়, ২০০৮-০৯ সালে উপজেলার চরবোরহানের ১নং সিটে দেড় একর করে ২২ ভূমিহীন পরিবার মোট ৩৩ একর খাস জমি সরকার বন্দোবস্ত দেয়। বর্তমানে ওই জমি দো-ফসলী হয়ে ওঠায় ভূমিদস্যু উজির-নাজিরসহ ১২ সহদর বাহিনী ভূমিহীনদের উচ্ছেদ করার পায়তারা চালিয়ে আসছে। পূর্বে ভূমিদস্যু বাহিনীর সদস্য মারফত হুমকি দিলেও গত বছরের ২৯ জুন দিবাগত রাতে নাজির সরদারের নের্তৃত্বাধীন ৩০/৩৫ জনের বাহিনী দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ হামলা-ভাংচুর ও লুটপাট চালায় ভূমিহীনদের বসত বাড়িতে। এ সময় চরে থাকতে প্রতি পরিবারকে বার্ষিক ২০ হাজার টাকা দিতে হবে বলেও হুমকি দেয় নাজির সরদার। এ ঘটনায় মাহাবুল মুন্সির স্ত্রী শাহানুর বেগম ওই বছরের ২ জুলাই বাদী হয়ে নাজির সরদারকে প্রধান আসামী করে ২২ জন চিহিৃতসহ আরও অজ্ঞাত ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী বিজ্ঞ আইন শৃঙ্খলা বিঘœকারী (দ্রুত বিচার) আদালতে মামলা দায়ের করে। মামলা করার জের ধরে ভূমিদস্যুদের অব্যাহত হামলার শিকার হয়ে ২১ ভূমিহীন পরিবার চরাঞ্চলের বাসতি ছেড়ে পালিয়ে যায়। চরে থাকা অপর পরিবারের প্রধান মোমেন গাজীকে গত ১৫ জুন বিকাল ৪টায় উপজেলা সদরের দশমিনা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্নে উজির সরদার মারধর করলে ওই পরিবারেও আতংক ছড়িয়ে পরে। চরে গেলে মোমেন গাজীকে হত্যা করা হবে, উজির সরদারের এমন হুমকিতে নিজের স্ত্রী-সন্তানের কাছে যেতে পারছেনা বলেও ভূক্তভোগী মোমেন গাজী জানায়। ভূক্তভোগী মোমেন গাজী আরও জানায় উজির-নাজির বাহিনী তার স্ত্রী-সন্তানদের উপজেলার মূল ভূখন্ডে আসাতে দিচ্ছে না। ২১ পরিবার বসতি ছেড়ে আসাসহ এক পরিবারকে জিম্মি করে রাখার ঘটনায় সরকারের উচ্চ পর্যায়ে হস্তক্ষেপ চায় ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় দশমিনা প্রেসক্লাবের স্থায়ী কার্যালয়ে ভূক্তভোগী পরিবারের মমিন গাজী, মাহাবুল মুন্সি, মাহাবুল সরদার, আলম প্যাদা, হোসেন মোল্লা, রিপন, লিয়ার, দুলাল, সায়েম, রমিজ ও খলিল জোমাদ্দার উপস্থিত হয়ে এ অভিযোগ জানায়। থানার ১০০ গজের মধ্যে মোমেন গাজীর ওপর হামলার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ওসি মো: শাহবুদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় এসআই মাধবকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
 
Top