ব্রিটেনে ক্যারিয়ারসম্পন্ন মুসলিম নারীরা এখন বহুবিবাহের সম্পর্কের দিকে আগ্রহী হচ্ছে। ইসলামিক শরিয়াহ কাউন্সিল জানিয়েছে, যোগ্য পুরুষের অভাব থেকে এদের কেউ কেউ বিবাহিত পুরুষদের দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় স্ত্রী পর্যন্ত হতে রাজি হচ্ছে।

ব্রিটেনভিত্তিক এই চ্যারিটি প্রতিষ্ঠানটি মুসলিমদেরকে আইনি নির্দেশনা দিয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠানটির কথায়, যোগ্য জীবনসঙ্গী খুঁজতে সংগ্রাম করছেন এমন বহুসংখ্যক নারীদের কাছ থেকে তারা প্রতিদিন বহুবিবাহসংক্রান্ত প্রচুর জিজ্ঞাসা পাচ্ছেন।

ব্রিটেনে একজনের বেশি স্ত্রী গ্রহণ করা অবৈধ কিন্তু পুরুষরা এখানে নিকাহের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পুনরায় বিয়ে করলে চারটি পর্যন্ত বিয়ে করতে পারে।

মিজান রাজা (৩৫) পৃথিবীজুড়ে মুসলিমদের বিয়ের আয়োজন করে থাকেন। তিনি জানাচ্ছিলেন, গত ছয় মাসে তার কাছে শত শত নারী ফোন কল দিয়েছেন, যারা দ্বিতীয় স্ত্রী হতে রাজি। মি. রাজি আরো জানান, এধরনের সম্পর্ক তৈরির চাহিদা পুরুষদের চেয়ে নারীদেরই বেশি। এসব নারীরা শিক্ষিত, ব্যবসায়িক উদ্যোক্তা এবং পেশাজীবী।

দেখা গেছে, পুরুষরা পেশাজীবী নারীদের সাথে সম্পর্কে জড়াতে চায় না। তারা চায় তাদের স্ত্রীরা ঘরকন্না হোক।

বিবাহিত পুরুষদের মুসলিম নারীদের বিয়ে করতে কেন এত উদগ্রীব, এর কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা গেছে, এসব নারীরা তাদের পেশাজীবনের ব্যস্ততা শেষে বাসায় এসে এতটাই ক্লান্ত থাকে যে, তাদের স্বামীদের জন্যে রান্নাবান্নার মতো কষ্ট করার মতো অবস্থায় থাকে না। তারা তাদের স্বামীদের সাথে পার্ট-টাইম সম্পর্ক গড়েই সন্তুষ্ট।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুসলিম নারীর সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি তার প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে একজন বিবাহিত পুরুষের সাথে সম্পর্ক তৈরি করেছেন। সেই পুরুষটি তার পূর্বের স্ত্রীকে তালাক দিতে চাইলে মহিলাটি তা হতে দেয় নি। বরং পুরুষটির দ্বিতীয় স্ত্রী হওয়াটাই তার জন্যে বেশি ভালো মনে হয় একারণে যে, এর ফলে তাকে সর্বক্ষণ তার স্বামীর সেবায় নিয়োজিত থাকার প্রয়োজন পড়বে না।

ধারণা করা হয়, মুসলিম পুরুষরা ১২ হাজার কনেকে বিয়ে করে ব্রিটেনে এনেছেন।

বিয়ে করবার মতো যোগ্য স্বামীর দুষ্প্রাপ্যতা ব্রিটেনে এমন এক সমস্যার তৈরি করেছে যে, নারীরা এখন কোনো যোগ্য পুরুষের আইনগত স্ত্রী হতে পারলেই বাঁচে।
 
Top