পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সার্টিফিকেট সহকারীর বিরুদ্ধে টোকেন বানিজ্যের অভিযোগ। ভুক্তভোগীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হোটেল রেস্তরায় খোলা খাদ্যের মানোন্নয়ন ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজহারুল ইসলাম গত কয়েক মাস ধরে অভিযান চালায়। অভিযানের পর ইউএনও স্বাক্ষরিত ২১ এপ্রিল দাপ্তরিক ১৩০ স্মারকের পত্রে মানোন্নয়ন ও ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধনের জন্য উপজেলার সকল হোটেল-রেস্তরায় একটি পত্র প্রেরণ করেন। ওই পত্রের সূত্র ধরে ইউএনওর সার্টিফিকেট সহকারী (সিএ) মো: শাহআলম মিয়া একটি প্রতিশ্রুতি পত্র তৈরি করে সকল ব্যবসায়ীদের পৃথক পৃথক স্বাক্ষর করিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণের উপদেশ দেয় এবং প্রতি পত্রের জন্য ইউএনও আজহারুল ইসলামকে দিতে হবে বলে ১ হাজার টাকা করে উত্তোলন করে। উপজেলার প্রায় ৯২টি হোটেল-রেস্তরায় প্রতিশ্রুতি পত্র নামক টোকেন দিয়ে সিএ মো: শাহআলম মিয়া বানিজ্য করছেন বলে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা এ প্রতিনিধিকে জানায়। উপজেলার নলখোলা বন্দরের ব্যবসায়ী মো: জামাল হোসেনসহ একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, ইউএনও কর্তৃক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার সময় টোকেনটি দেখালে কোন জরিমানা করবেনা বলে সিএ মো: শাহআলম মিয়া ব্যবসায়ীদের নিশ্চয়তা দিয়েছেন। এছাড়াও উপজেলার ৫৪ জন গ্রাম পুলিশদের মাসিক সম্মানী বিতরণ করার সময় ৫০ থেকে দু’শ টাকা বিভিন্ন অজুহাতে আদায় করার অভিযোগ রয়েছে সিএ শাহআলম মিয়ার বিরুদ্ধে। এ বিষয় সিএ মো: শাহআলম মিয়া বলেন, আমার বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ করেছে তাদের নাম বললে আমি জিজ্ঞাসা করে দেখব। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজহারুল ইসলাম বলেন, ব্যবসায়ীদের সংশোধনের সুযোগ দেয়ার জন্য অর্থ আদায় করে থাকলে, অভিযোগটি তদন্ত করে সিএ’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।