ক্রিসমাস। বড়দিন। পাওয়ার দিন। কিন্তু এই ক্রিসমাসেই 'সব' হারিয়েছেন মেগান ক্লারা। এই মুহূর্তে পর্ন-দুনিয়ায় মেগান ক্লারা জনপ্রিয় নাম। আর এই নাম তিনি অর্জন করেছেন মাত্র একটি বছরে। অর্থাভাব মিটেছে। কিন্তু মেগান ক্লারা ছিলেন সিঙ্গল মাদার। তীব্র অর্থাভাবের মধ্যেই বছর কুড়ির মেগান ছেলেকে নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছিলেন জীবন সংগ্রাম। কিন্তু ২০১৪ সালের ক্রিসমাসে সব ওলটপালট হয়ে গিয়েছিল।
ছেলেকে ক্রিসমাস গিফট কিনে দেওয়ার সামর্থ্য ছিল না মেগানের। ছেলে অ্যাস্টনের করুণ মুখ দেখে আর থাকতে পারেননি মা। অ্যাস্টনের বন্ধুদের হাতে যখন দামি উপহার, তখন অ্যাস্টনের গায়ে ছেঁড়া-ফাটা কোট। কোনওক্রমে একটা নতুন জামা কিনতে পেরেছিলেন ছেলের জন্য।
এর পরে মেগান আর অপেক্ষা করেননি। রাতারাতি হাজার পাউন্ড জোগাড় করে ফেলেন। কিন্তু তা করতে গিয়ে তাঁকে চিরতরে বিসর্জন দিতে হয়েছিল নিজের শরীর। পর্নোগ্রাফিতে অভিনয়ের সেই শুরু।
খুব দ্রুত স্টারডমে অঙ্গীভূত। এসেছে অর্থও। মেগান এখন এক শরীরী দুনিয়ার রঙিন পরি। বলছেন, ''ওই মুখটা আমি কোনওদিন ভুলব না। ঠিক করেছিলাম, নিজের সবটুকু নিঙড়ে দিয়ে ওর মুখে হাসি ফোটাব। সেটাই করে চলেছি। ও একটা সাইকেল চেয়েছিল। সেটা পাওয়ার পরে ওর মুখে হাসির ঝলক দেখা আমার কাছে একটা স্বর্গীয় অভিজ্ঞতা।''
কেটি প্রাইসের মতো হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু যা হয়েছেন, তাতে কোনও আক্ষেপ নেই মেগানের। বলছেন, ''অ্যাস্টন আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। ওর মুখে হাসি দেখতে আমি সব করব। কোনও আক্ষেপ নেই।''
 
Top