আটককৃত স্ত্রীর মুখ থেকে পুলিশ কোন তথ্য বের করতে পারেনি
দশমিনা প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার চরহাদির কৃষক দু'সন্তানের জনক মোঃ শাহআলম গাজীকে গলা কেটে হত্যার তিন দিন অতিবাহিত হলেও আটককৃত সন্দেহজনক আসামী স্ত্রীর মুখ থেকে পুলিশ দু'দিনে কোন তথ্য বা ক্লু বের করতে পারেনি বলে থানা সূত্রে জানা যায়।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে দুর্বৃত্তরা শাহআলম গাজীকে (৩০) গলা কেটে হত্যা করে শনিবার দিবাগত রাতে নিহতের গ্রামের বাড়ি আরজবেগীর পারিবারিক কবরাস্থানে দাফন করা হয়। চরহাদির একাধিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার একই চর দু'নামে পরিচিত। পূর্বাংশ ভোলার লালমোহন উপজেলার চরকচুয়াখালী এবং পশ্চিমাংশ পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার চারহদি। চরহাদি পূর্বে কচুয়াখালীর সীমানার নীকটে দলু গাজী ১৯৯২ সাল থেকে বসবাস করে আসছে। নিহত শাহআলম গাজী দলু গাজীর ছোট ছেলে। নিরহ, কোন রাজনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলনা শাহআলম। নামাজি শাহআলম গাজীর হত্যা পর চরের সকলে মুখে শুধু আপসোস যে এরকম ভদ্র ছেলেকে কি কারণে হত্যা করা হল।
এদিকে থানা পুলিশ নিহতের স্ত্রী লাইজু বেগমকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করলে দু'দিনে কোন তথ্য বের করতে পারেনি বলে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহবুদ্দিন জানান। তিনি আরও বলেন, খুনিরা পেশাদারী খুনি। শাহআলমের গলা কেটে হত্যার পর ডান কান কেটে নিয়ে যায়।
 
Top