মোঃ সাফায়েত হোসেন:
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা সদর ইউপি সদস্য আঃ ছালাম হাওলাদার গং স্থানীয় শালিস ব্যবস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ক্ষমতা ও প্রভাবে মৃত চাচাতো ভাইয়ের পুত্র রেজাউল গং’র ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার জমি জবর দখল এবং ৪ লাখ টাকার কর্তৃণকৃত গাছ আবদ্ধ দিয়ে নষ্ট করার অভিযোগ।
ভুক্তভোগী রেজাউল গং গতকাল রবিবার সকাল ১০টায় দশমিনা প্রেসক্লাবে এসে উপস্থিত সংবাদকর্মীদের কাছে সাবেক ইউপি সদস্য আঃ ছালাম হাওলাদার গংদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ছালাম ও রেজাউল গং ৯টি খতিয়ানে মোট ১১ একর ৮৩ শতাংশ জমির হিস্যা সূত্রে ওয়ারিশ। রেজাউল গং কবলা ও পৈত্রিক সূত্রে ৫ একর ১৭ শতাংশ জমির মালিক। আজ থেকে প্রায় দু’বছর আগে রেজাউল ঘর নির্মানের জন্য তাদের দখলীয় জমিতে রোপিত রেইনট্রি, মেহগনিসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৮শ’ ঘনফুট গাছ কর্তণ করে। প্রায় ৪ লাখ টাকার অতিমূল্যবান গাছ  দেখে লোভেবসবতি হয়ে কর্তৃন গাছ ছালাম গংরা আবদ্ধ দেয়। এরপর শুরু হয় স্থানীয় শালিস ব্যবস্থা। ২০১৩ সালে প্রথমদফা শালিস করে সৈয়দ নাসিম, মোঃ সোহরাব ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আঃ মতলেব হাওলাদার। তাদের দেয়া রোয়দাদে রেজাউল গংদের দেড় একর জমি ছালম গংরা জবর দখলে ভোগ করে বলে উল্লেখ করা হয়। রোয়দাদে আবদ্ধকৃত গাছ পক্ষ রেজাউল গংদের দেয়ার নির্দেশ দেয় শালিসগণ। অপরদিকে, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এড. ইকবাল মাহমুদ লিটন, ইউপি সদস্য আঃ মোতালেব হাওলাদার ও শিক্ষক হেলাল উদ্দিন চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি অপর রোয়দাদে ওই রায় দেয়। রেজাউল গংদের দেড় একর জমির স্থানীয় মূল্য প্রায় ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ছালাম গং স্থানীয় শালিসদের ওই দু’দফা রায়কে কর্ণপাত করছে না। যার ফলে ছালাম গংরা রেজাউল গংদের ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার জমি জবর দখল ও ৪ লাখ টাকার কর্তৃনকৃত গাছ হাতিয়ে নেয়ার পায়তারা করছে।
 
Top