মঞ্চে পড়েছিল আলো। প্রেক্ষাগৃহে তখন তিল ধারণের জায়গা নেই। রঙিন আলোর হাত ধরে ঘুরেফিরে বেড়াচ্ছে বৈদিক মুদ্রা, ওড়িশি ও ছৌ নৃত্যভঙ্গিমার অনুপম মাধুর্য।
সম্প্রতি আইসিসিআর সত্যজিৎ রায় সভাকক্ষ সাক্ষী থাকল এমনই এক সন্ধের। ওড়িশি শিল্পী সুতপা তালুকদার ও তাঁর ছাত্র-ছাত্রীদের নৃত্যানুষ্ঠান ‘বাহন’ মুগ্ধ করল দর্শকদের। দেবতা ও বাহনদের সম্পর্ক, কেন তাদের প্রয়োজন পড়ল, কী বা গল্প তাদের ঘিরে— এমন সব পৌরাণিক আখ্যানের উপর ভর করেই নাচের সূত্রে গল্প গাঁথলেন টিম সাউথ গুরুকুল সোসাইটি।
নাচের প্রতিটি বিষয় ও আঙ্গিকের সঙ্গে উপযুক্ত ভাষ্যপাঠে সঙ্ঘমিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শাবেরী পুরকায়স্থ মন টানেন দর্শকদের। ভুললে চলবে না সঙ্গীতের দিকটিও। হিন্দুস্থানী ধ্রুপদীর সঙ্গে কর্নাটকী ঘরানা ও তবলার নানা বোল মিলিয়ে এক অসাধারণ সঙ্গত পেশ করেন পণ্ডিত শুভঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। পোশাক পরিকল্পনা থেকে আলোর ভাবনা— সবেতেই ছিল অভিনবত্বের ছাপ।
শেষ সময় পর্যন্ত ভরাট দর্শক আসন ও করতালি জানান দিয়ে গেল ও শহর আজও ভালবাসে পুরাণগাথা। পছন্দ করে নৃত্য-সঙ্গীতের এমন অনাবিল মিলমিশ।