দশমিনা প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর আবদুর রসিদ তালুকদার ডিগ্রি কলেজে এইচএসসি সমমান ব্যবহারিক পরীক্ষায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় আত্মসাৎ।
জানা গেছে, চলতি এইএসসি সমমান ব্যবহারিক পরীক্ষায় শিক্ষা বোর্ড নির্ধারিত ৫০ টাকার ফি স্থালে পূর্ণ মার্ক পাইয়ে দেয়ার কথা বলে পরীক্ষার্থীদের থেকে অতিরিক্ত ৫০০ থেকে হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় ১৭ জুন কলেজের মাসিক সভায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ : মন্নান অভিযোগ তদন্তের জন্য সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে দেন। তদন্ত কমিটিতে সহকারী অধ্যাপক মো: সামছুল আলম আদিল আহবায়ক প্রভাষক এবিএম বিপ্লব এবং প্রভাষক আবু জাফরকে সদস্য করা হয়। তদন্ত কমিটি ২২ জুন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বরাবরে লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সংশ্লিষ্ট প্রভাষক কর্তৃক পরীক্ষার্থীদের থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষায় অতিরিক্ত আদায়ের বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেছে। কৃষি শিক্ষা বিষয়ে ৩১৩, সাচিবিক বিদ্যায় ৩০, জীব বিজ্ঞানে ৩৯, রসায়নে ৪৮, পদার্থে ৪৪, উচ্চতর গণিতে ৩৭, গার্হস্থ্য বিজ্ঞানে ৪৩৭, তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তিতে ৩৫ জনসহ শত ৮৩ পরীক্ষার্থীদের ২০০ থেকে ৪০০ টাকা অতিরিক্ত ফি দিতে হয়েছে। তদন্তে আরও উল্লেখ করা হয় তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রভাষক মাহমুদুল্লাহ লাখ ৩২ হাজার ৭০০ টাকা সাচিবিক বিদ্যা প্রভাষক আফজাল হাজার ২০০ টাকা কৃষি শিক্ষা প্রভাষক লিটন লাখ ৪৩ হাচার ৭০০ টাকা উত্তোলন করে কলেজ ফান্ডে জমা না দিয়ে সমূদয় আত্মসাৎ করার প্রমান পাওয়া গেছে। এছাড়াও উপজেলার ডা. ডলি আকবর মহিলা কলেজসহ ৪টি কলেজের পরীক্ষার্থীদের থেকে কেন্দ্রিয়  আবদুর রসিদ তালুকদার ডিগ্রি কলেজের সংশ্লিষ্ট প্রভাষকরা ব্যবহারিক বিষয়ে অর্থ উত্তোলন আত্মসাতের অভিযোগও পাওয়া গেছে। এদিকে, কেন্দ্র সচিব সহকারী অধ্যাপক মো: শহিদুল ইসলাম জীব বিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থ, র্গাহস্থ্য উচ্চতর গণিত বিষয়ে শিক্ষা বোর্ড নির্ধারিত অতিরিক্ত আদায়ের ফি নিজের কাছে রেখে দেয়ার অভিযোগে কলেজ কর্তৃত প্রেরিত চিঠি তিনি গ্রহণ করেনি বলেও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ : মন্নান প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব পালনকারী সহকারী অধ্যাপক মো: শহিদুল ইসলামের বিষয়ে পরবর্তী মাসিক সভায় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি উত্থাপন করা হবে।
 
Top