বাউফল প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার সর্বত্র বিক্রি হচ্ছে নি¤œমানের খেজুর। খেজুর খেয়ে রোজদারদের পেটের পীড়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কোন নজরদারি না থাকার কারনে ধরনের খেজুর উপজেলা জুরে বিক্রি হচ্ছে দেদারসে।
সরজমিনে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে ঘুরে দেখা গেছে, মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমদানি করা এসব খেজুর রীতিমতো ভেজা। বস্তার গা বেয়ে রস ঝরছে। খেজুরের বস্তায় মেয়াদের কোনো তারিখ নেই। ফলে মানুষ জানতে পারছে না, এসব খেজুর আদৌ স্বাস্থ্যসম্মত কি না। খেজুর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোজা শুরুর আগে থেকে এলাকায় নিম্নমানের খেজুর ঢুকেছে। বিভিন্ন মহাজনের কাছ থেকে তা ছড়িয়ে পড়ছে উপজেলার আনাচে-কানাচে। যেসব জায়গায় খেজুরগুলো মজুদ থাকে বেশির ভাগই গুদাম অপরিছন্ন। সেখানে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা হয় না। ফলে সেখানে বেশি দিন খেজুরের মতো রসালো কাঁচা খাদ্যদ্রব্য মজুদ রাখা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। উপজেলার একটি বেসরকারী সংস্থায় চাকুরিরত মোসা: মাকমুন নাহার মনা বলেন, রোজার মাসে সাধারনত সকল রোজদারের ইফতারের অন্যান্য সামগ্রীর সাথে খেজুর রাখা চাই। কিন্তু বর্তমানে উপজেলার হাটবাজারে যে মানের খেজুর বিক্রি হয় তা একেবারেই নিম্ন যা খাবার পরে পরিবারের সদস্যদের পেটের বিভিন্ন পিড়া দেখা দিয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যাবসায়ী বলেন, আমরা রাজধানী থেকে বস্তা ভর্তি কিনে নিয়ে আসি। মেয়াদ আছে কিনা নাই তা জানার প্রয়োজন মনে করি না। মানের ভালোমন্দ দেখলে ব্যবসা হবে না। মানুষ ঝরঝরে খেজুর নিতে চায় না। তাই ভেজা খেজুরই নিয়ে আসতে আমরা বাধ্য হই। মেয়াদউত্তির্ন নি¤œ মাসের খেজুর সম্পর্কে কালাইয়া সাহেদা গফুর ইব্রাহিম জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক তুষার কান্তি সি এম, বলেন ধরনের খেজুর খেলে পেটের পীড়াসহ নান রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
বিষয়ে বাউফল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, শীগ্রই উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে ভেজাল বিরোধী অভিযান করে এদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থ নেওয়া হবে।
 
Top