নিজস্ব সংবাদদাতা, ফুলতলা খুলনা:
বর্তমানে আমন চাষাবাদের জন্য বীজতলা তৈরীর প্রকৃত সময় হল কৃষকদের মাথায় হাত। একদিকে বহু কষ্ট করে বীজ ধান জোগাড় বীজ তৈরীর জন্য বীজ তলা তৈরী করা হয়। বাজারের বীজের উপর কৃষকদের ভরসা না থাকায় তারা নিজ তৈরীর বীজ দিয়েই বীজ বপন করে আসছিল। বর্তমানে কৃষকদের তৈরী কৃত বীজ তলার চারা দুই তিন ইঞ্চি লম্বা হয়ে যায়। কিন্তু গত বেশ কিছু দিন ধরে প্রবল ও অতি বৃষ্টি হওয়ায় ফুলতলার এলাকায় সম্পূর্ণ বীজ তলা পানির নীচে। কৃষকদের আশংকা দ্রুত বর্ষা না কমলো এবং পানি নিষ্কাষণ না হলে সম্পূর্ণ চাঁরা নষ্ট হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে পুনরায় বীজ যোগাড় করে বীজ তলা তৈরী করতে হবে। অনেক কৃষকের পুনরাই বীজ ক্রয় করে চারা তৈরীর ক্ষমতা নেই। বর্তমানে আবওহায়া দফতরের ঘোষণা অনুযায়ী সহসা বৃষ্টি যাচ্ছে না। আর এ অবস্থা চলতে থাকলে কৃষকদের প্রচুর ক্ষতির সম্ভবনা রয়েছে। কৃষকদের অভিযোগ বীল ডাকাতিয়া সহ অন্যন্যা এলাকার খাল বিলে সরকারী ভাবে খনন না করা এবং ঘের তৈরী করে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে দ্রুত পানি নিষ্কাষণ হচ্ছে না। কৃষি অফিস জানায়, আমন বীজ তলার জন্য চার শত পঞ্চাশ বিঘা জমিতে বীজ বপন করা হয়। অতি বৃষ্টিতে সত্তর, আশি বিঘার বীজ তলা নষ্ট হয়েছে। সবজি চাষের জন্য দুই শত পঞ্চাশ বিঘা জমিতে বীজ তলা তৈরী করা হয়। এখানে পঁচাত্তর বিঘা পানির নিচে চলে যায়। এছাড়া ও আউসের পঁচিশ বিঘা জমির বীজতলা পানির নিচে চলে যায়।
 
Top