নিজস্ব সংবাদদাতা, ফুলতলা, খুলনা: গত কয়েক দিনের অতি বৃষ্টিতে বিল
ডাকাতিয়া সহ ফুলতলার নিম্নঅঞ্চল তলিয়ে গেছে। বিল ডাকাতিয়ার নিম্ন অঞ্চলে
অনেক মাছের ঘের ডুবে গেছে। আবার অধিকঅংশ মাছের ঘের ডুবু ডুবু ভাব হয়েছে।
ঘের মালিকরা নেট জাল ও পাটা দিয়ে ঘের ঠেকানোর চেষ্টা করছে। এছাড়াও অতি
বৃষ্টিতে ফুলতলার রাস্তা ঘাট বীজ তলার প্রচুর ক্ষতি হয়েছে।
ফুলতলা উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায় বিলডাকাতিয়া সহ অন্যন্যা
এলাকায় মোট ১০ হাজার ৬শ ৪৮ টি চিংড়ি ও সাদা মাছের ঘের রয়েছে। এর মধ্যে
শুধু চিংড়ির ঘের ৮ হাজার ২শত ১১ টি। এতে ২৯শত ২৩ হেক্টর জমি ঘেরের আওতায়
রয়েছে। গত বছর ২০১৪ সালে ১ হাজার ২শ ৫৫ মেঃ টঃ মাছ উৎপাদন হয়েছে। এ বছরও
একই রকম মাছের উৎপাদন হবে বলে জানা যায়।এলাকার অনেকেই জানান মোট চিংড়ি
ঘেরের ৩০% প্লাবিত হয়েছে। উপজেলা সিনিয়ার মৎস্য কর্মকর্তা এ টি এন তৌফিক
মাহমুদ জানান এই মুহুর্তে কোন মাছের ঘের ভেসে যাওয়ার খবর তার কাছে নাই।
অপর দিকে মৎস্য ঘের মালিক সমিতির সভাপতি মোশারফ হোসেন মোড়ল জানান
বসুরাবাদ, পটিয়াবান্দা, ও ভুলোপোতা গ্রামের অনেক ঘের অতি বৃষ্টির কারণে
ভেসে গেছে। এছাড়াও জামিরা, ধোপাখোলা, বসুরাবাদ, পঠিয়াবান্দা, গাড়াখোলার
কিছু অংশ পানির নিচে তলিয়ে গেছে। দামোদরের চারা বটতলা খাল, জোড়াবটতলার
খাল, বরনপাড়ার খাল, গোলদার পাড়ার খাল, আশিপুট খালের পানি নিষ্কাশেনের
ব্যবস্থা ভাল না থাকায় জলবন্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত পানি নিষ্কাশণ হতে
পারছে না। ঘের মালিকরা পাটা ও নেট দিয়ে আংশিক ঠেকিয়েছে। তবে যে কোন সময়
অল্প সামান্য বৃষ্টি হলেই বিল ডাকাতিয়ার চিংড়ির ঘের ভেসে যেতে পারে বলে
আশংকায় রয়েছে ঘের মালিকরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রিনা খাতুন জানান অতিবৃষ্টিতে উপজেলার আমন, আউশ ও
সবজি বীজ তলার অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমন বীজ তলার আওয়াতায় ৪শ ৫০ বিঘা জমির
ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৭০ বিঘা। ২৫০ বিঘার সবজি বীজ তলার মধ্যে ক্ষতি হয়েছে
৭৫ বিঘা। আউশ এর ক্ষতি হয়েছে ২৫ বিঘা। তিনি আরও জানান অন্যন্যা বীজ তলাও
প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টি আরও হলে আরও ক্ষতি হবে বলে জানা যায়। তবে এলাকার
কৃষকরা জানান বীজ তলার ক্ষতি আরো বেশি হয়েছে।
অপরদিকে অতি বৃষ্টিতে ফুলতলার জনজীবন অচল হয়ে পড়েছে। এলাকার অধিকাংশ সড়ক
ভেঙ্গে খানা খন্দে পরিণত হয়েছে। যাহা বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগী। বিশেষ
করে ফুলতলা, শাহাপুর সড়কে করুন। চৌরাস্তার মোড় থোকে সড়কে ঢুকলেই খানা
খান্দে গর্তে পরিণত হয়েছে বলে দেখা যায়। সব সময় এ খানে পানি জমে থাকে।
এছাড়াও পুরো সড়কের অবস্থা একই। এলাকাবাসীর পক্ষে অনেকেই জানান ফুলতলা,
শাহাপুর সড়কটি অভিবাবকহীন।