বরিশাল অফিস:
রাস্তার পাশের সামাজিক বনায়নে সরকারি গাছ বিক্রি করে শোক দিবস পালনে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, সরকারি-বেসরকারিভাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান'র ৪০তম শাহাদৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করে। এ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান যুবলীগ সভাপতি এড. মোঃ সাখাওয়াত হোসেন শওকত ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান এড. ইকবাল মাহমুদ লিটনসহ ৬টি ইউনিয়ন পরিষদে পৃথকভাবে দিবসটি পালন করেন।
এদিকে, উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠন শোক র্যালী, দোয়া মিলাদ, আলোচনা সভা শেষে মাংস খিচুরী বিতরণ কর্মসূচী হাতে নিয়েছে।
এ সংগঠনের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কেটে শোক দিবস পালনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সূত্রে জানায়, দশমিনা থেকে পটুয়াখালীর লোহালিয়া পর্যন্ত আন্তঃজেলা সড়কের দু'পাশে প্রায় ১৭ বছর পূর্বে সরকার সৃষ্ট সামাজিক বনায়নের অর্ধশত গাছ বিক্রির অর্থে উপজেলা আওয়ামীলীগ ব্রয়লার মাংস ও খিচুরী আয়োজন করেছে। ওই গাছের ক্রেতা উপজেলার চরহোসনাবাদ এলাকার স্ব-মিল ও কাঠ ব্যবসায়ী করিম বেপারী, শাহজাহান সর্দার, ইফসুফ মিয়া, জসিম বেপারী, হান্নান বেপারী ও চারু বেপারী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্রে জানায়, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমান মুন্সি, সাধারণ সম্পাদক এড. সিকদার গোলাম মোস্তফা ও যুগ্মসাধারণ সম্পাদক গৌতম রায় বনবিভাগ ম্যানেজ করে খোলা দরপত্র দেখিয়ে মূলদর ও ৯ শতকরা ভ্যাট-ট্যাক্সসহ ১ লাখ ৭৪ হাজার ৪০০ টাকায় ৪৮টি চাম্বুল গাছ ক্রয় দেখিয়ে বেপারীদের থেকে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা নিয়ে গাছগুলো কাটায়। বন বিভাগ পরিত্যাক্ত দেখিয়ে খোলা দরপত্রের আহবান করা গাছগুলো রেঞ্জের খাড়া গাছ বলেও স্থানীয়রা জানায়। গাছ বিক্রির এসব টাকা শোক দিবসে ব্যবহার করা হবে বলেও এসব নেতারা বিভিন্ন সময়ে বলে বেড়ানোর অভিযোগও রয়েছে।
 
Top