শরীয়তপুরের
সখিপুর থেকে নিখোঁজ হওয়া স্কুলছাত্রীর স্যুটকেসের ভেতর লাশ মিলল সাভারের আশুলিয়ায় । আর
এ অজ্ঞাত লাশের পরিচয় মিলল ফেসবুকের মাধ্যমে।
নিহত
তাবাচ্ছুম (১৩) সখিপুর ইউনিয়নের কালাই মাঝি কান্দি গ্রামের বাসিন্দা বাদল মাঝির মেয়ে। সে
তারাবুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত।
বৃহস্পতিবার
উপজেলার চরসেনসাস ইউনিয়ন থেকে নিখোঁজ হয় তাবাচ্ছুম (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রী। শুক্রবার
সভারের আশুলিয়ায় তার লাশ পাওয়া যায়। তবে
শনিবার ফেসবুকের মাধ্যমে নিহতের আত্মীয়রা খবর পেয়ে রোববার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে শনাক্ত করে।
বিষয়টি
নিশ্চিত করে নিহত ছাত্রীর চাচাতো ভাই সাইজুদ্দিন মাঝি বলেন, তাবাচ্ছুমের বাড়ি সখিপুর ইউনিয়নে হলেও সে চরসেনসাস ইউনিয়নের বালাকান্দি গ্রামে তার নানা সিরাজ মোল্যার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করত।
সেখানকার
বাসিন্দা সৈয়দ আলী মৃধার ছেলে আজিজ মৃধা তাবাচ্ছুমকে বিরক্ত করত। বৃহস্পতিবার
রাতে তাবাচ্ছুম নিখোঁজ হয়। খুঁজে
না পেয়ে শনিবার তার মামা সেলিম মোল্যা আজিজ মৃধাকে সন্দেহ ভাজন উল্লেখ করে সখিপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু
এর আগের দিন শুক্রবার স্যুটকেসভর্তি অবস্থায় তাবাচ্ছুমের লাশ উদ্ধার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। একদিন
পর ফেসবুকের মাধ্যমে খবর পেয়ে রোববার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতলে গিয়ে তাবাচ্ছুমের লাশ শনাক্ত করে তার মামা গোলাম মোস্তফা।
নিহত
তাবাচ্ছুমের চাচা ইয়াসিন মাঝি বলেন, চরসেনসাস গ্রামের বালাকান্দির বাসিন্দা সৈয়দ আলী মৃধার ছেলে আজিজ মৃধা তাবাচ্ছুমকে বিরক্ত করত। আজিজ
মৃধাই কৌশলে তাবাচ্ছুমকে হত্যা করেছে। এখন
আজিজের বাড়ির সবাই পালাতক রয়েছে।
এ
বিষয়ে সখিপুর থানার ওসি মঞ্জুরুল হক আকন্দ বলেন, মেয়েটিকে হত্যার ব্যাপারে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। সেখানে
তদন্ত চলমান রয়েছে।