চুয়াডাঙ্গার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হাফিজুর রহমান লাল্টুর (৩৮) বিরুদ্ধে মসজিদের ইমাম সহকারী কোমলমতি এক মাদ্রাসা ছাত্রকে বলৎকারের অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা শহর সংলগ্ন দৌলতদিয়াড় গ্রামের গাংপাড়া মসজিদের ইমামের সহকারীর দায়িত্ব পালনরত ১২ বছর বয়সের কোমলমতি এক শিক্ষার্থী।
চুয়াডাঙ্গার আলুকদিয়া ইউনিয়ন ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান লাল্টু। এই শিক্ষার্থী গ্রামের মাদ্রাসায় হাফেজ বিভাগের শিক্ষার্থী। সে দৌলতদিয়াড় গ্রামের আমিরুল ইসলাম ওরফে ভেলু ড্রাইভারের পুত্র।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ঘটনার দিন গত বৃহস্পতিবার মাগরিবের নামাজ শেষে একই মহল্লার বাসিন্দা হাফিজুর রহমান লাল্টু মসজিদের ইমামের সহকারী এই মাদ্রাসা ছাত্রকে ফুসলিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। লাল্টু ওই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে বাড়ির নিজ শয়ন কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক বলৎকার করে।
এদিকে, মাদ্রাসা ছাত্র ও মসজিদের ইমাম সহকারীকে বলৎকারের ঘটনাটি প্রথম দিকে গোপন থাকলেও পরবর্তীতে ২/৩ দিনের ব্যবধানে স্থানীয়ভাবে জানাজানি হয়ে পড়ে। এ অবস্থায়, বলৎকারের শিকার ওই মাদ্রাসা ছাত্রের পিতা বাদী হয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা একই গ্রামের আয়ুব আলীর পুত্র হাফিজুর রহমান লাল্টুর নামে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা করে।
মামলার তদন্তকারী অফিসার চুয়াডাঙ্গা থানার এস আই সুমন সরকার বলেন, বলৎকারের শিকার ওই মাদ্রাসা ছাত্রের ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আসামী শহরতলীর দৌলতদিয়াড় গ্রামের সাবেক ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা হাফিজুর রহমান লাল্টু পলাতক রয়েছে।
এই বিষয়ে যোগাযোগ করলে, চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ ইন্সপেক্টর তোজাম্মেল হক বলেন, ঘটনার বিষয়ে মামলা হয়েছে। ভিকটিমের মেডিকেল সম্পন্ন হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে, আসামী গাঁ-ঢাকা দিয়েছে।
সূত্রঃ ইত্তেফাক