ঢাকার
ধামরাইয়ে ৫ মাসের ছেলেসন্তানকে মাটিচাপা দিয়ে হত্যা করেছে বাবা-মা। এলাকাবাসী
তাদের ধরে পুলিশে দিয়েছেন। তবে
পুলিশ বাবাকে রেখে ছেড়ে দিয়েছে মাকে।
রোববার
রাতে ধামরাই উপজেলার সুতিপাড়া ইউনিয়নের বালিথা পূর্বপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সেই
বাবা ও মায়ের নাম মো. নূর ইসলাম ও সাথী আক্তার লামিয়া। নূর
ইসলামকে ছাড়িয়ে নিতে সোমবার দিনভর চেষ্টা চালিয়েছে তার প্রথম স্ত্রী মর্জিনা আক্তার রাজিয়া ও তার পরিবারের লোকজন।
স্থানীয়রা
জানান, ধামরাই পৌর শহরের ছোট চন্দ্রাইল মহল্লার বাসিন্দা মো. জাকির ওরফে সহিদুর হাজীর ছেলে মো. নূর ইসলাম তার প্রথম স্ত্রী মর্জিনা ওরফে রাজিয়াকে রেখেই লালমনিরহাটের লামিয়াকে বিয়ে করে।
তারা
সুতিপাড়া ইউনিয়নের বালিথা গ্রামের মো. মন্টু মিয়ার বাড়িতে কক্ষ ভাড়া নিয়ে দেড় বছর ধরে বসবাস করছিল। পাঁচ
মাস আগে লামিয়া পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। সম্প্রতি
প্রথম স্ত্রী ও তার পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতে পারে।
এ
নিয়ে নূর ইসলামের কাছে জানতে চায়। রোববার
রাতে নূর ইসলাম ও লামিয়া ৫ মাসের সন্তান সাব্বির রেজাকে মাটিচাপা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। জনতা
ধরে পুলিশে খবর দেয়। এসআই
বাবলু শরীফ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘাতক নূর ইসলামকে থানায় নেন। ছেড়ে
দেন লামিয়াকে। সন্ধ্যায়
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত লাশ তোলা হয়নি।
এ
নিয়ে জানতে বাবলু শরীফের মোবাইলে বহুবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ধামরাই
থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, পারিবারিক জরুরি প্রয়োজনে তিনি ঢাকায় আছেন। পরে
খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন।
এ
বিষয়ে কথা হয় নূর ইসলামের ভগ্নিপতি আবুল হোসেনের সঙ্গে। তিনি
বলেন, পরিবারের কাউকে না জানিয়ে এবং প্রথম স্ত্রীর কোনো অনুমতি ছাড়াই নূর ইসলাম নতুন বিয়ে করে। প্রথম
স্ত্রীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। তাকে
ছাড়িয়ে নেয়ার সব ধরনের চেষ্টায় করছি।
বালিথা
পূর্বপাড়ার মাতব্বর মো. শামীম আহাম্মেদ বলেন, ঘাতকরা শিশুটিকে জীবন্ত মাটিচাপা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় জনতার হাতে আটক হয়। পরে
তাদেরকে পুলিশে দেয়া হলে পুলিশ মাকে ছেড়ে দিয়ে বাবাকে থানায় নিয়ে যায়।