হবিগঞ্জের মাধবপুরে এক যুবককে হাত পা বেঁধে তিন বখাটে বলৎকার করে ভিডিও ধারণ করে ইন্টারনেটে ছেড়ে দিয়েছে। এখন বিভিন্ন যুবকের হাতে এ ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।
পুলিশ ৯ দিন পর ভিকটিমকে উদ্ধার করে আজ বুধবার তার ডাক্তারী পরীক্ষা করিয়েছে। ভিকটিম হবিগঞ্জ ৬নং আমলী আদালতের বিচারকের কাছে আজ বুধবার ২২ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে।
পুলিশ জানায়, ৮ নভেম্বর বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামের জারু মিয়ার ছেলে এনামুল (১৮) কে একই গ্রামের সেন্টু মিয়া, হারুন মিয়া, মুখলেছ মিয়া নামে ৩ বখাটে একটি বেগুন খেতে নিয়ে এনামুলের হাত পা বেঁধে ফেলে। পরে এনামুলকে পালাক্রমে পাশবিক নির্যাতন (বলৎকার) করে ৩ যুবক। এ সময় তারা এর ভিডিও চিত্র ধারণ করে পরে তা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়। লোক লজ্জায় এনামুল ঘটনাটি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বখাটেদের ধারণকৃত ভিডিও ক্লিপ এলাকায় লোকজনের কাছে ইন্টারনেট ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় তার পিতা জারু মিয়া থানায় একটি মামলা করে। এতে সেন্টু, হারুন ও মুখলেছকে আসামী করা হয়। মামলার পরেই তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ চৌমুহনী ইউনিয়নের জয়পুর মসজিদ বাজার (বড়জ্বালা বাজারে) অভিযান চালিয়ে এজাহার নামীয় আসামী মুখলেছকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে মুখলেছ হবিগঞ্জ কারাগারে আটক আছে। পুলিশ ধৃত মুখলেছকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়েছেন।
মাধবপুর থানার ওসি মোকতাদির হোসেন মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, অপর দুই আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।