দশমিনা প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বড় গোপালদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী হত্যা মামলার আসামী মোঃ নাহিদকে ১৯ দিন পর গ্রেফতার করেছে পুলিশ। থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ জুন দিবাগত রাতে উপজেলার বেতাগী-সানকিপুর ইউনিয়নের বড় গোপালদী গ্রামের সোহরাব খন্দকার শাহিদা বেগম দম্পত্তির মেয়ে এবং বড়গোপালদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী ছালমা বেগম মুনিয়াকে পার্শ্ববতী মর্দনা গ্রামের নাসির সিকদারের বখাটে ছেলে মো: নাহিদ (২০) শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যায়। নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মুনিয়া বিদ্যালয়ের আসা-যাওয়ার সময় নাহিদ দীর্ঘ দিন ধরে মুনিয়াকে উত্ত্যাক্ত করে আসছিল। প্রায় মাস পূর্বে নাহিদ মুনিয়াকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এবং জোর র্পূবক বিয়ে করে। পরে মুনিয়ার পরিবার বিয়ে মেনে নিয়ে বেকার নাহিদকে কর্মমূখী করার জন্য মুনিয়ার বাবা-মায়ের কর্মস্থল ঢাকায় কাজের ব্যবস্থা করে দেয়। মুনিয়া হত্যার কয়েক দিন পূর্বে নাহিদ গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসে এবং মুনিয়ার কাছে তার বাবার বাড়ি চলে আসে। গত ১২ জুন গভীর রাতে মুনিয়ার ভাই মোঃ রাব্বি পার্শ্ববতী এলাকায় বিয়ে বাড়িতে বেড়াতে গেলে বখাটে নাহিদ ঘুমন্ত মুনিয়ার গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরোধে মুনিয়াকে হত্যা করে। পরদিন ১৩ জুন নিহত মুনিয়ার মা শাহিদা বেগম নাহিদসহ চার জনের বিরুদ্ধে দশমিনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার মর্দনা এলাকা থেকে মামলার আইও এসআই রুহুল আমীনের নেতৃত্বে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নাহিদকে গ্রেফতার করে।দশমিনা থানার ওসি মো: শাহবুদ্দিন জানান, গ্রেফতারকৃত  আসামী নাহিদের জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য পটুয়াখালীর সিনিয়ন সহকারী জজ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে 

 
Top