মোঃ সাফায়েত হোসেন, দশমিনা:
 পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলরা চরবোরহানের জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ১০ ভূমিহীন পরিবারকে হয়রানীর উদ্যেশে মোঃ শিহাব উদ্দিন কতৃক মিথ্যা চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের মামলা দেয়ার অভিযোগ।
ভুক্তভোগী মাহাবুল সরদার, আলম প্যাদা ও খলিল জোমাদ্দার অভিযোগ করে বলেন, চর বোরহানের জমি নিয়ে প্রয়াত ফজলুল হাওলাদারের ছেলে আঃ রহমান গং ও মরহুম আফের আলী সরদারের ছেলে উজির সরদার গংদের সাথে মোমিন গাজীসহ ২২ ভূমিহীন পরিবারের ৩৩ একর জমি নিয়ে দীর্ঘ দিন বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধের জেরে চলতি বছরের ১০ জানুয়ারী আঃ রহমানের ছোট ভাই মোঃ শিহাব উদ্দিন বাদী হয়ে মোমিন গাজী ও মাহাবুল সরদারসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে দশমিনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে মামলা করেন। ওই মামলায় বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ হোসেন ওসি দশমিনা থানাকে এজাহার নেয়ার নির্দেশ দেন। মামলার নথিপত্র ও সরেজমিনে দেখা যায়, মোঃ শিহাব উদ্দিন কর্তৃক দায়েরকৃত মামলার আসামীদের মধ্যে খলিল জোমাদ্দার, রমিজ চৌকিদার, সয়েম হাং ও শাহিন হাং উপজেলার দুর্গম চরবোরহানের বাসিন্দা। যে চরে যেতে উপজেলার সদর থেকে ৪/৫ ঘন্টা সময় ব্যয় হয়। আপর ৬ আসামীরা বাদীর পার্শ্ববর্তী বাড়ীর লোকজন। ঘটনাস্থল আব্দুল রাজ্জাক হাওলাদার বাড়ী বাদীর নানা বাড়ী। আর ঘটনার সময় উল্লেখ করা হয় ৮ জানুয়ারী শুক্রবার বিকাল ৪ টা। উপজেলা সদরের রাজ্জাক হাওলাদার বাড়ীর দক্ষিন পাশে সড়কের ঘটনাস্থলের দেড়'শ/দু'শ গজের মধ্যে বেশ কয়েকটি দোকানপাট ও বসত বাড়ি রয়েছে। মামলায় স্বাক্ষীগনের মধ্যে বাদীসহ ৫ জন সহদর ভাই। ঘটনাস্থল থেকে ৬'শ-৭'শ গজ দূরে অবস্থিত দশমিনা সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার প্রখ্যাত অধ্যক্ষ মাওঃ এ.কে.এম মোসলেম উদ্দিন বাদীর বড় ভাইয়ের কর্মস্থল। ১০ জন আসামী আর ৯ জন স্বাক্ষীর সামনে স্থানীয় লোকজন চাঁদাবাজি ও ছিনতাই মামলায় ৯ নং স্বাক্ষী করা হযেছে চর বোরহানের উজির সরদারকে। এ ব্যাপারে বুধবার বেল ১টায় সরেজমিনে কথা হয় ঘটনাস্থল সংলগ্নের বাড়ির কালু সিকদার, মুদি মনোহরী ব্যবসায়ী শাহ আলম প্যাদা ও আঃ রব প্যাদার সাথে । তারা এ প্রতিনিধিকে জানান, এ সড়কে চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের কোন ঘটনা ঘটেনি । চায়ের দোকানি ফুল বিবি বলেন, দিনে দুপুরে এ সড়কে ছিনতাই হবে এটা অবাস্তব কথা। এছাড়াও বাদী ও আসামী উভয়ে প্রতিবেশী।

 
Top