সামাজিক অবক্ষয় ‘ক্রসফায়ার’ দিয়ে বন্ধ করা 
যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা 
বার্নিকাট। আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি
 হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের বাসভবন প্রেসিডেন্ট পার্কে বিদায়ী সাক্ষাতে 
বার্নিকাট এ কথা বলেন। দলের একাধিক নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় এরশাদের বাসভবন 
প্রেসিডেট পার্কে পৌঁছান মার্শা বার্নিকাট আসেন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত তারা 
একসঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। তবে এর মধ্যে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট 
এরশাদ-বার্নিকাট একান্তে বৈঠক করেন।
এ সময় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য 
জিয়াউদ্দিন বাবলু, মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, চেয়ারম্যানের প্রেস 
সেক্রেটারি ও প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায় ও মেজর (অব.) খালেদ উপস্থিত 
ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির 
চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বলেন, মার্শা বার্নিকাট বাংলাদেশ থেকে 
চলে যাচ্ছেন। এটা ছিল তার বিদায়ী সাক্ষাৎ।
দেশে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে 
‘ক্রসফায়ারে’র ঘটনা বা নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা— জানতে চাইলে এরশাদ
 সরাসরি কোনো উত্তর দেননি। তিনি বলেন, অনেক বিষয় নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা 
হয়েছে।
এরশাদ-বার্নিকাট সাক্ষাতে উপস্থিত একাধিক 
নেতা জানান, একান্ত বৈঠকের আগে তাদের মধ্যে দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক 
পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ সময় বার্নিকাট বলেছেন, তাদের দৃষ্টিতে 
বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি থমথমে। সব দল যদি নির্বাচনে না আসে 
তাহলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। বিশেষ করে বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে, 
তাহলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না, প্রশ্নবিদ্ধ হবে। এতে দেশের উন্নয়নের 
ধারা নষ্ট হবে।
বার্নিকাট আরো বলেন, এটা বিদায়ী সাক্ষাৎ। 
পরে যিনি রাষ্ট্রদূত হয়ে বাংলাদেশে আসবেন, নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ 
নিশ্চিত করাটা হবে তার বিশেষ অ্যাসাইমেন্ট। এ সময় সাম্প্রতিক ‘ক্রসফায়ার’ 
প্রসঙ্গেও কথা বলেন তিনি। বার্নিকাট বলেন, সামাজিক অবক্ষয় কখনোই 
‘ক্রসফায়ার’ দিয়ে বন্ধ করা যাবে না।
জাতীয় পার্টির নেতারা জানান, আলোচনায় ২০১৪ 
সালের ৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নিয়েও কথা হয়েছে। এ সময় এরশাদ বার্নিকাটকে 
জানান, ওই নির্বাচনে তিনি অংশ নিতে আগ্রহী ছিলেন না। তবে নির্বাচনকে 
কেন্দ্র করে সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি বেড়ে যাওয়ার কারণেই তিনি নির্বাচনে অংশ 
নিয়েছিলেন।
নেতারা বলেন, দুয়েকদিনের মধ্যে বিরোধী দলীয় 
নেতা রওশন এরশাদের সঙ্গে বার্নিকাট বিদায়ী সাক্ষাৎ করবেন। এর আগে, এক ইফতার
 পার্টিতে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সঙ্গে বৈঠকের জন্য 
সময় চেয়েছিলেন বার্নিকাট।
