ব্রিটিশ নাগরিকত্ব নাকি ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয় এই তুমুল বিতর্কের মধ্যে তারেক রহমানের স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে শংকিত হয়ে পড়েছেন মা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। নতুন করে তার শরীরে এইচ আই ভি পজেটিভ অর্থাৎ এইডসের জীবাণু পাওয়া গেছে। লন্ডনে উন্নত চিকিৎসার জন্যই তারেককে দেশে আসতে দিচ্ছেন না স্ত্রী জোবাইদা রহমান।
ফখরুদ্দিন- মঈনুদ্দিন সরকারের সময় কারাবন্দি তারেক রহমান বিশেষ অনুমতি নিয়ে স্ত্রী কন্যা সহ লন্ডনে যান সুচিকিৎসার জন্য। দল এবং রাজনীতি ছেড়ে দীর্ঘদিন সেখানে বসবাস মন থেকে মেনে নিতে পারছেনা বিএনপির তৃণমূল নেতৃবৃন্দ। কিছুদিন আগেও তারা নিশ্চিত ছিলেন রাজনৈতিক আশ্রয় এবং বৃটিশ নাগরিকত্ব পেয়ে যাওয়ার কারণেই দেশে ফিরছেন না তারেক রহমান। কিন্তু সম্প্রতি লন্ডনে ফাঁস হয় একটি মেডিকেল রিপোর্ট তারেক রহমানের দেশে না ফেরার আশংকাকে আরও ঘনীভূত করেছে। একাধিক মামলার দায় মাথায় নিয়েই ২০০৮ সালের ১২ ই সেপ্টেম্বর চিকিৎসার কারণ দেখিয়ে লন্ডন যান তারেক রহমান। সেই থেকেই লন্ডনের কিংসটনে বসবাস করছেন বিএনপি ভবিষ্যৎ হিসেবে বিবেচিত এই নেতা।
চিকিৎসার কারণ দেখিয়ে লন্ডনে থাকলেও দীর্ঘদিন ধরেই সেখানকার রাজনীতিতে সক্রিয় তারেক। এই সময়ে তাকে বিভিন্ন সভা সমাবেশ ও অনুসঠানে নিয়মিতই অংশগ্রহণ ও বক্তব্য দিতে দেখা যায়। তার এমন কর্মকান্ড বারবার প্রশ্নবিদ্ধ করেছে তার চিকিৎসার ব্যাপার টিকে। এবারের ঘটনায় দীর্ঘদিন ধরে চাপা উদ্বেগ সামনে এসেছে। তবে দলের ভাবমূর্তি রক্ষা করতে ব্যাপারটি নিয়ে সরাসরি কথা বলতে রাজি হচ্ছেন না বিএনপির কোনো নেতা।
সামনের জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এমনিতেই বেশ কোণঠাসা অবস্থায় আছে দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি। তার উপর বিভিন্ন বিতর্কে বারবার শিরোনাম হচ্ছেন দলটির বর্তমান প্রধান তারেক রহমান । লন্ডনে তারেকের বেপরোয়া জীবন নিয়ে ইতিপূর্বেও বিভিন্ন খবর এসেছে দেশী বিদেশী নানান গণমাধ্যমে। এর মধ্যে নতুন করে তারেকের এইচ আই ভি পজেটিভের খবরটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশ আশাহত হয়ে পড়েছেন দলের কর্মীরা।
সূত্র: www.bdsnews24.com
 
Top