কথায় আছে, "মাছে ভাতে বাঙ্গালি", সত্যি বাঙ্গালিরা দুই বেলা ভাত না পেলে তাদের খাওয়া সম্পূর্ণ হয় না। প্রত্যেক বাড়িতে ২ই বেলা রান্না হয় ভাত। আর সেই ভাত যদি হয় ক্যামিকালে ঠাঁসা! আমরা সবাই কেমিক্যাল দুধ ও প্লাস্টিক ডিমের কথা শুনেছি। এবার প্লাস্টিক চাল! রান্না করার পর ভাত দেখেই সন্দেহ হয় ওই পরিবারের। সাধারণ ভাতের তুলনায় অনেকটাই বেশী সাদা এই ভাত। নেই কোন স্বাদ, মাটিতে ফেললে তা লাফাতে শুরু করছে রাবারের মত। এমনকি সাধারণ চালের থেকে এই চালটির গন্ধও অন্যরকম। আগুনে ধরলেও পুড়ছে না। এতেই প্লাস্টিক চাল আতঙ্ক ছড়ায় বালুরঘাট শহরের উত্তর চকভবানী এলাকায়। এদিকে বিষয়টি নিয়ে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে জেলা খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিরা।
বালুরঘাট শহরের উত্তর চকভবানী এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ দাস বুধবার পতিরাম এলাকা থেকে চাল কিনে নিয়ে আসেন বাড়িতে। সেই চাল রান্না করেন প্রথম প্রদীপ বাবুর স্ত্রী ইতি দাস। দুপুরে খাওয়ার জন্য মামা কে নেমন্ত্রণ করেছিলেন ইতি দেবী। রান্নার করার সময় থেকে সন্দেহ হয়ে ওনার। এরপরই সেই ভাত খেতে গিয়ে দেখে কোন স্বাদ নেই। সেই ভাত গুটি করে নিচে ফললে লাফাতে শুরু করে, এবং সাধারণ চালের থেকে অনেকটাই সাদা ধবধবে এই চালটি দেখে সন্দেহ হয় তাদের। এলাকায় খবরটি জানা জানি হতেই প্লাস্টিক চালের আতঙ্ক ছড়ায়।
বিষয়টি খাদ্য সুরক্ষা দফতরকে জানানো হয়, যদিও দফতের আধিকারিক মুর্শিদাবাদে থাকায় এসে এখনো খতিয়ে দেখতে পারেননি, তিনি আশ্বাস দেন ওই চালের নমুনা সংগ্রহ করে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন।