এর আগে বিশ্বকাপে যতবার দেখা হয়েছে ততবার নাইজেরিয়াকে
পরাস্ত করেছে আর্জেন্তিনা। রাশিয়ায় এখনও গোলের মুখ না দেখে কার্যত ফুটছেন মেসি। একটি বড় ব্যবধানের জয়ই তাদের ফিরিয়ে আনতে পারে মূল স্রোতে। তবে নাইজেরিয়াও সহজ প্রতিপক্ষ নয়।
আইসল্যাণ্ডের বিরুদ্ধে থমকে যেতে হয়েছে। ক্রোয়েশিয়ার
বিরুদ্ধে লজ্জার হারে মুখ পুড়েছে। তবু আশা ফুরাইনি। ১৯৮৬-এর বিশ্বকাপ জয়ী দল আর্জেন্তিনার
কাছে আজ শেষ ষোলোয় যাওয়ার শেষ সুযোগের হাতছানি। এমত অবস্হায় আর্জেন্তিনা কি পারবে তার হৃত গৌরব ফিরিয়ে আনতে? আজ নাইজেরিয়া ম্যাচের শেষে কি শান্তির ঘুম ঘুমোবেন মেসিরা? মারাদোনা অভয় দিচ্ছেন, সম্ভব।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের মতে, মারাদোনা নিরাশ হচ্ছেন না। বরং বলছেন, ১৯৮২ ও ১৯৯০ সালে এর থেকেও কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছে আর্জেন্তিনা, কাজেই হাল ছেড়ে দেওয়ার কোনও কারণ নেই। যদিও তার জন্যে পারফরমেন্সে
বড় বদল আনতে হবে দু’বারের বিশ্বজয়ীদের।
মারাদোনা ওই কলামেই আরও যোগ করেন, ‘হাতে একটি মাত্র ম্যাচ আর আর্জেন্তিনা
গ্রুপ তালিকায় নিচের দিকে রয়েছে, এটা দেখতে ভাল লাগছে না। ম্যাচ জিতলেই চলবে না, অন্য ম্যাচের ফলেও নজর রাখতে হবে, এটাই দুশ্চিন্তার।’
প্রসঙ্গত, এর আগে বিশ্বকাপে যতবার দেখা হয়েছে ততবার নাইজেরিয়াকে পরাস্ত করেছে আর্জেন্তিনা। রাশিয়ায় এখনও গোলের মুখ না দেখে কার্যত ফুটছেন মেসি। একটি বড় ব্যবধানের জয়ই তাদের ফিরিয়ে আনতে পারে মূল স্রোতে। তবে নাইজেরিয়াও সহজ প্রতিপক্ষ নয়। গত শুক্রবার আইসল্যাণ্ডের সঙ্গে ম্যাচে নাটকীয় জয় এনে দিয়েছেন তারকা স্ট্রাইকার আহমেদ মুসা। গত দুটো ম্যাচে আর্জেন্তিনা যথাক্রমে ৪-২-৩-১ এবং ৩-৪-৩ ছকে খেলেছে। দুই ক্ষেত্রেই মাঝমাঠ কার্যত ব্যার্থ হয়েছে। সব দেখেশুনে চাকরি বাঁচাতে মরিয়া সাম্পাওলিও দলে বেশ কয়েকটি বদল আনতে চলেছেন এই ম্যাচে।
সাম্পাওলির সঙ্গে মনোমালিন্য, দলের দ্বিতীয় গোলকিপার উইলি কাবেয়েরো ব্যর্থতার অধ্যায়গুলিকে
ধুয়ে মুছে আর্জেন্তিনা কি পারবে কোটি কোটি ভক্তের মুখে হাসি ফেরাতে? অপেক্ষার প্রহর গুনছে পৃথিবী।