ব্যাংকটির মালিকানায় রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা থাকায় তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনার কোনো তোয়াক্কা করেন না। তাই পর্যবেক্ষক নিয়োগেও থামছে না অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাট। ব্যাংকটির দায় পরিশোধের সক্ষমতা নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ। এ কারণে আমানতকারীদের মধ্যে বিরাজ করছে আতঙ্ক
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের পর এখন বেসরকারি খাতের দুই ব্যাংকের মধ্যে ফারমার্স ব্যাংকের অবস্থা এতটাই সঙিন যে আমানতকারীদের টাকা পরিশোধের ক্ষমতাও ব্যাংকটি হারিয়ে ফেলেছে। ফলে গ্রাহকদের মধ্যে বিরাজ করছে আতঙ্ক।
বর্তমানে এই ব্যাংকটি চলছে অন্য ব্যাংক থেকে অর্থ ধার নিয়ে। আমানত নিচ্ছে উচ্চ সুদে এবং ব্যাংকটি পুরো ব্যাংক খাতে ‘পদ্ধতিগত ঝুঁকি’ (সিস্টেমেটিক রিস্ক) তৈরি করেছে। সব মিলিয়ে ব্যাংকটি এখন খাদের কিনারায় রয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র জানিয়েছে, বিভিন্ন অনিয়মের কারণে ফারমার্স ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিতে যেকোনো সময় অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিতে পারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা মুখ খুলছেন না।
জানা গেছে, ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৭ ধারায় যেকোনো ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়ার ক্ষমতা বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে দেয়া হয়েছে। আর ৪৬ ধারায় কোনো ব্যাংকের চেয়ারম্যান, পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীকে অপসারণের ক্ষমতার কথা বলা আছে। তবে ৪৬ ধারার ৬ উপধারায় সরকার মনোনীত বা নিযুক্ত চেয়ারম্যান বা পরিচালককে অপসারণের ক্ষমতা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে নেই।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ যায়যায়দিনকে বলেন, শুধু একটি ব্যাংক নয়, বেশিরভাগ নতুন ব্যাংকের পরিচালন ও ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা রয়েছে। ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে তেমন যাচাই-বাছাই করা হয় না। এ ছাড়া ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদও ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে প্রভাব খাটায় বলে অভিযোগ রয়েছে। আর নানা অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের কারণে খেলাপি ঋণ বেড়ে যাচ্ছে। তাই নতুন ব্যাংকগুলোর বিভিন্ন কার্যক্রমের ওপর কেন্দ্রীয় ব্যাংককে নজরদারি বাড়ানোর পাশাপশি যারা আগ্রাসী ব্যাংকিংয়ে জড়িয়ে পড়ছে তাদের নিয়ন্ত্রণে পরামর্শ দেন সাবেক এ গভর্নর।
জানা গেছে, সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য মহীউদ্দীন খান আলমগীরের মালিকানাধীন ফারমার্স ব্যাংকের অবস্থা এমন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ব্যাংকটির দায় পরিশোধের সক্ষমতা নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তারা নানাভাবে ঋণ বিতরণ করেছে।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র বলছে, ব্যাংকটির মালিকানায় রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা থাকায় তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো নির্দেশনার তোয়াক্কা করেন না।
এদিকে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেছেন, এসব ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাক, তারা তা চান না। কিন্তু জনগণ ব্যাংকে টাকা রাখলে সেই ব্যাংক যদি তা ফেরত দেয়ার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলে, তবে তেমন ব্যাংকের টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব। শুধু ব্যবস্থাপনার অদক্ষতার জন্য, বড় রকমের অনৈতিক চর্চার ফলেই এমনটা ঘটেছে।
সম্প্রতি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির এক বৈঠকে ব্যাংকটির চেয়ারম্যানকে অংশ নেয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল কিন্তু তিনি বৈঠকে উপস্থিত হননি। তিনি বর্তমানে সরকারি প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত্ম সংসদীয় কমিটির সভাপতি। এই কমিটির কাছে বাংলাদেশ ব্যাংককে জবাবদিহি করতে হয়। আর বেসরকারি ব্যাংকগুলোর দেখভাল করার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংকের।
সংশিস্নষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সে দায়িত্ব কতটা গুরম্নত্বের সঙ্গে পালন করেছে বা করতে পারছে তা এখন বড় প্রশ্ন। সুতরাং এ ধরনের পদে ( চেয়ারম্যান) কে থাকবেন, কে থাকবেন না সে প্রশ্নের মীমাংসা হওয়াটা জরম্নরি। কেননা জনগণের অর্থ গচ্ছিত আছে এমন বেসরকারি ব্যাংকের কর্মসম্পাদনের ওপর নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের নিয়মিত নজরদারি অবশ্যই প্রয়োজন। ব্যাংকটি এমন দুর্দশায় পতিত হওয়ার আগেই বাংলাদেশ ব্যাংকের হস্ত্মক্ষেপ করা উচিত ছিল।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অবস্থান জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা যায়যায়দিনকে বলেন, ব্যাংকের আর্থিক অবস্থার অবনতি হলে পর্যবেক্ষক দেয়া হয়। তিনি ব্যাংকটির পর্ষদ সভায় উপস্থিত হয়ে খোঁজ রাখেন। কিন্তু পর্যবেক্ষক দেয়ার পরও ব্যাংটির সব সূচকে অবনতি হয়েছে কেন জানতে চাইলে তিনি জানান, সুনির্দিষ্টভাবে কোনো ব্যাংকের বিষয়ে তিনি বলবেন না। তবে একটি ব্যাংকের অবস্থা যখন খারাপের দিকে যায় তখন পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। পর্যবেক্ষক না দিলে অবস্থা আরও খারাপের দিকে যেতে পারত। পর্যবেক্ষক একটি ব্যাংকের উন্নতি করতে পারে না। যেটা করতে পারে- তার উপস্থিতিতে বোর্ডের সিদ্ধান্ত্ম যেন ব্যাংকের আমানতকারীদের অনুকূলে যায়।
এদিকে দুই ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা পুনর্গঠনের সুপারিশ করেছেন সংসদীয় কমিটির সভাপতি। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অবস্থান কি জানতে চাইলে শুভঙ্কর সাহা জানান, তিনি এ প্রসঙ্গে কিছু জানেন না। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করলে আইনানুযায়ী যে কোনো ব্যাংকের পর্যদ ভেঙে দিতে পারে।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সংসদীয় কমিটির জন্য একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। দি ফারমার্স ব্যাংকের ওপর তৈরি করা ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালের ৩ জুন ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরম্ন করেছে ব্যাংকটি। কার্যক্রম শুরম্নর কিছু দিনের মধ্যেই ঋণ নিয়মাচার পরিপালনে এবং ব্যাংকটির অভ্যন্ত্মরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় শিথিলতা দেখা দেয়। এতে ব্যাংকটিতে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম সংঘটিত হতে থাকে। মোটা দাগে ১৩টি বিশেষ অনিয়মের চিত্র তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে ব্যাংকের নিজস্ব ঋণ নীতিমালা অনুসরণ না করে গ্রাহকদের ঋণসুবিধা প্রদান করা হয়েছে। ঋণের অর্থের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত না করে গ্রাহকদের উদ্দেশ্যবহির্ভূত খাতে অর্থ স্থানান্ত্মরের পরোক্ষ সহায়তা করা হয় ব্যাংক থেকে। অস্ত্মিত্ববিহীন ও সাইনবোর্ড সর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ঋণ অনুমোদন দেয়া হয়। ঋণ নিয়মাচার লঙ্ঘন করে ব্যাংকের পরিচালকসহ অন্য ব্যাংকের পরিচালকদের ঋণ প্রদান করা হয়। অপর্যাপ্ত ও ত্রম্নটিপূর্ণ জামানতের বিপরীতে ঋণ প্রদান ও খেলাপি গ্রাহকের বিপরীতে ঋণ প্রদান করা হয়।
আর প্রতিবেদনে আর্থিক দুর্বলতার বিষয়ে বলা হয়েছে, ক্রমবর্ধমান অনিয়ম প্রতিরোধ, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও অভ্যন্ত্মরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উন্নতি এবং ঋণ নিয়মাচারে শৃঙ্খলা আনয়ন অত্যাবশ্যক হয়ে পড়ায় আমানতকারীদের স্বার্থ সুরক্ষার লক্ষ্যে গত বছরের ১৩ জানুয়ারি ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একজন পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু এর পরও ব্যাংকটির পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হচ্ছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক বছর ধরে ফারমার্স ব্যাংক তীব্র তারল্য সংকট রয়েছে। বর্তমানে এ সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। ব্যাংকের মূল তারল্য পরিমাপক সূচক তথা বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত নগদ জমা (সিআরআর) সংরক্ষণে ব্যাংকটি ক্রমাগতভাবে ব্যর্থ হচ্ছে। যেমন গত এপ্রিল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত্ম ব্যাংকটি একটানা সিআরআর সংরক্ষণে ব্যর্থ হচ্ছে। এ ছাড়াও গত জানুয়ারি থেকে গত জুন পর্যন্ত্ম ব্যাংকটি বেশ কয়েক দিন এসএলআর সংরক্ষণেও ব্যর্থ হয়েছে। ভবিষ্যতে এ সংকট প্রকট আকার ধারণ করার আশঙ্কা করছে স্বয়ং বাংলাদেশ ব্যাংক।
ক্রমাগতভাবে নির্দিষ্ট পরিমাণ নগদ অর্থ (সিআরআর) বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত্ম দ-সুদ ও জরিমানা বাবদ ৭ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যাংকটির কাছ থেকে আদায় করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ছাড়া গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত্ম আরও ১১ কোটি ৩১ লাখ টাকা আদায় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অর্থাৎ গত এক বছরে ব্যাংকটির ওপর আরোপিত দ-সুদ ও জরিমানার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।
ব্যাংকটির পরিচালনায় যথাযথ নিয়মাচার অনুসরণ না করায় আয়ের ওপরও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। গত বছরের জুনের পর থেকে একমাত্র গত ডিসেম্বর ত্রৈমাসিক ছাড়া ব্যাংকটি ক্রমাগত লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছে। গত জুন প্রান্ত্মিকে ব্যাংকটির নিট লোকসানের পরিমাণ ছিল ১৩ কোটি ১১ লাখ টাকা। এ ছাড়া ব্যাংকটির মোট ৫৪টি শাখার মধ্যে ২৮টিতেই লোকসানে পরিচালিত হচ্ছে। অর্থাৎ ব্যাংকটির মোট শাখার ৫০ শতাংশের বেশিই লোকসানি।
ব্যাংকটির দায় পরিশোধের সক্ষমতা নেই উলেস্নখ করে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সাধারণ আমানতকারী ও বিভিন্ন ব্যাংক হতে উচ্চ সুদে আমানত নেয়া এবং ধার করে বর্তমানে টিকে আছে ফারমার্স ব্যাংক। ফলে ব্যাংকটি পুরো ব্যাংক খাতে ‘পদ্ধতিগত ঝুঁকি’ (সিস্টেমেটিক রিস্ক) তৈরি করেছে যা আমানতকারীদের আস্থা নষ্ট করতে পারে।
এসব বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছোট ছোট কয়েকটি ব্যাংকের অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত হবে এসব ব্যাংকের স্বাস্থ্য উদ্ধার করা। আমানতকারীদের এখনি উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই উলেস্নখ করে তিনি বলেন, এখনি সময় সঠিক পদক্ষেপ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে এগিয়ে আসা। এসব ব্যাংকের মালিকপক্ষ রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী। মূল কাজ হবে বাংলাদেশ ব্যাংককে শক্তিশালী করা। কেউ যেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজে বাধা না দিতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের আগস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফারমার্স ব্যাংক সবচেয়ে বেশি সুদে আমানত সংগ্রহ করছে। ব্যাংকটি গড়ে আট দশমিক ৭৮ শতাংশ হারে আমানতকারীদের সুদ দিয়ে আমানত সংগ্রহ করছে। এর বিপরীতে ঋণ দিচ্ছে ১৩ দশমিক শূন্য দুই শতাংশ হারে। এদিকে ব্যাংকটি আমানত হার ব্যাংকিং খাতের মোট আমানত হারের প্রায় দ্বিগুণ উঠেছে। আগস্টের ব্যাংকিং খাতে গড় আমানত দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৯৩ শতাংশে।
ফারমার্স ব্যাংকের বিষয়ে বক্তব্য জানতে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান মহীউদ্দীন খান আলমগীর এবং ব্যবস্থাপনা পরিচাল ও সিইও এ কে এম শামীমকে বৃহস্পতিবার একাধীকবার মুঠো ফোনে কল ও এসএমএস করেও পাওয়া যায়নি।
উলেস্নখ্য, দি ফারমার্স ব্যাংকের চেয়ারম্যান সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর। ব্যাংকটির ১৯ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদে ভাইস চেয়ারম্যান মো. আতাহার উদ্দিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে রয়েছেন এ কে এম শামীম। এর আগে তিনি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন।
ব্যাংকটির পাঁচ সদস্যের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যানও হলেন- মহীউদ্দীন খান আলমগীর। এর আগে এ পদে ছিলেন মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী) যিনি বর্তমানে অডিট কমিটির চেয়ারম্যান। আগে অডিট কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন চৌধুরী নাফেজ শরাফত।