মৃত্যু মানেই কি সব শেষ? নাকি এক আলাদা জীবনের শুরু? সে রহস্য রহস্যই থেকে গিয়েছে। মৃত্যুর পর যদি আলাদা জীবন শুরু হয়, তা হলে তা যেন সমৃদ্ধ হয় এ জীবনে ভালবাসার বস্তু বা পোষ্য দিয়ে। এই বিশ্বাস থেকে মিশরের ফারাওরা নিজেদের মৃত্যুর পর প্রিয় পোষ্যকেও তাঁর সঙ্গে মমি বানিয়ে রাখতেন। এ যুগেও অনেকটা তেমনই ভালবাসার সন্ধান মিলল। তবে একটু অন্য ভাবে। কোনও পোষ্য নয়, মৃত্যুকালীন শেষ ইচ্ছায় কফিনের বদলে প্রিয় গাড়ির সঙ্গে নিজেকে ‘কবর’ দেওয়ার অনুরোধ করলেন এক ব্যক্তি। ইচ্ছা পূরণও হল। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত সোমবার প্রিয় গাড়িটাকে কফিন করে তাঁকে কবর দেওয়া হয়। ঘটনাটি চিনের। গাড়ির সঙ্গে কবর দেওয়ার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও হয়েছে।
ওই ব্যক্তির নাম কিউ। চিনের হেবেই প্রদেশের বাসিন্দা কিউয়ের ছোট থেকেই গাড়ির শখ ছিল। অনেক বছর ধরে সিলভার-গ্রে রঙের সেডান গাড়িটা তাঁর ছিল। অনেক পুরনো হওয়ার দরুণ গতি কমে গিয়েছিল গাড়িটির। কিন্তু দীর্ঘ দিন এক সঙ্গে থাকার কারণে কেমন যেন ভালবেসে ফেলেছিলেন গাড়িটাকে। তাই জীবন হারিয়ে ফেললেও গাড়িটাকে হারাতে চাননি তিনি। পরিবারের কাছে অনুরোধ করেছিলেন, মৃত্যুর পর তাঁকে যেন কফিনে কবর না দিয়ে ওই গাড়িটাতে কবর দেওয়া হয়।
পরিবার তাঁর অনুরোধ রাখে। গাড়ির মাপের বড় গর্ত খোঁড়া হয়।গাড়িটার ভিতরে শোওয়ানো হয় কিউকে। তারপর ক্রেনের সাহায্যে দড়ি বেঁধে আস্তে আস্তে ওই গর্তের ভিতরে গাড়ি সমেত কবর দেওয়া হয় তাঁকে।
কবর দেওয়ার ভিডিওটি ইউটিউবে ভাইরাল হয়েছে। নানা রকমের মন্তব্যও করা হয়েছে ওই ভিডিয়োর নীচে। কেউ লিখেছেন, ‘ভাগ্যিস তিনি বিমান ভালবাসতেন না’। কারও কৌতূহল, ‘আজ থেকে অনেক বছর পরে ওই জায়গাটা খুঁড়লে গাড়িটা পাওয়া যাবে, তখন কী হবে ভাবুন’।
 
Top