মুম্বাইয়ের
বৃষ্টির কথা কারও অজানা নয়। এখানে
একবার বৃষ্টি শুরু হলে থামার নাম নেই। চারদিকে
ঝমঝম বৃষ্টি। কাছের
মানুষকেও ভালো করে দেখা যায় না। এই
বৃষ্টিভেজা দিনে মা শ্রীদেবীর কথা মনে পড়েছে জাহ্নবীর। এ
মাসেই মুক্তি পাচ্ছে জাহ্নবী আর ঈশান খাট্টার অভিনীত ছবি ‘ধড়ক’। শশাঙ্ক
খৈতান পরিচালিত এই ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হচ্ছে বনি কাপুর আর শ্রীদেবীর কন্যা জাহ্নবীর। ছবি
প্রচারণার সময় এক ইভেন্টে জাহ্নবীর স্মৃতিতে ভেসে ওঠে মায়ের সঙ্গে সেই বৃষ্টিমুখর দিনগুলোর কথা।
‘ধড়ক’
ছবির এক ইভেন্টে বৃষ্টি প্রসঙ্গে জাহ্নবী বলেন, ‘বর্ষা এলেই আমার ২০০৫ সালের ২৬ জুলাই মুম্বাইয়ের বন্যার কথা মনে পড়ে। ওই
দিন আমি আর আমার এক বান্ধবী সিনেমা দেখতে গিয়েছিলাম। আমাদের
সঙ্গে মা ছিলেন। ছবি
দেখে বাইরে আসার পর দেখি ঝুম বৃষ্টি। আর
চারদিক পানিতে ভাসছে। মুম্বাইয়ে
বন্যা হয়ে গেছে। বাড়িতে
যাওয়ার পথ বন্ধ। তবে
কাছে আমাদের পরিচিত রাজ আঙ্কেলের অফিস ছিল। আমরা
সবাই রাজ আঙ্কেলের অফিসে যাই। টানা
তিন দিন সেখানে আমরা বৃষ্টির জন্য আটকে ছিলাম। ওই
তিন দিন আমরা রাজ আঙ্কেলের অফিসে ছিলাম। সবাই
মিলে খুব মজা করেছি। তিন
দিন আমরা শুধু ম্যাগি খেয়েছি।’
২০০৫ ভয়ংকর একটি দিনের অভিজ্ঞতা ঈশানের অন্য রকম। বলিউডের নবাগত এই নায়ক বলেন, ‘২৬ জুলাই আমি স্কুলে ছিলাম। ভয়ানক বৃষ্টির জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের তাড়াতাড়ি ছুটি দিয়ে দেন। স্কুল বাসে করে বাড়ি ফেরার সময় হঠাৎ বাস খারাপ হয়ে যায়। সেদিন হেঁটে বাড়ি ফিরি। জুহু থেকে ওশিওয়ারা পৌঁছাতে আমার সাত ঘণ্টা লেগে যায়। বন্যার পানি আমার মাথা পর্যন্ত আসছিল। এদিকে বাড়ির লোকেরা আমাকে খুঁজতে খুঁজতে জুহু পৌঁছে যায়।’
এই
বৃষ্টির মধ্যে জাহ্নবী আর ঈশান তাঁদের আসন্ন ‘ধড়ক’ ছবির প্রচারণা করে চলেছেন। ঈশান
ও জাহ্নবীর দুজনেরই বৃষ্টিতে ভিজে নাচ করতে মন চায়। তবে
ঈশান বৃষ্টির মধ্যে ফুটবল খেলতে বেশি পছন্দ করেন। আর
জাহ্নবী কাছের বন্ধুদের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দিতে ভালোবাসেন।
সুপারহিট
মারাঠি ছবি ‘সৈরাট’-এর রিমেক এই ‘ধড়ক’ ছবিটি। রাজস্থানের
মেওয়াড়ের ওপর এই ছবির গল্পের পটভূমিকা। পরিচালনা
করেছেন শশাঙ্ক খৈতান। আর
‘ধড়ক’ ছবির প্রযোজক হলেন করণ জোহর। ২০
জুলাই ছবিটি মুক্তি পাবে।