আওয়ামী
লীগের তরফ থেকে ‘সবুজ সংকেত’ পেলে আগামী সংসদ নির্বাচনে রাজনীতির মাঠে দেখা যাবে চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুককে।
গাজীপুর-৫ (কালীগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
ফারুক
বলেন, “এবার মনোনয়নপত্র জমা দেব। মনোনয়ন
পাওয়ার ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। আমাকে
না দেওয়ার কোনো কারণ দেখি না। কারণ
আমি প্রার্থী হিসেবে শক্তিশালী। আমার
এলাকার শতভাগ মানুষ আমাকে ভালোবাসে।”
গাজীপুর-৫ (কালীগঞ্জ) আসনে বর্তমানে সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগেরই মেহের আফরোজ চুমকি। তিনি
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে আছেন।
শুধু
কালীগঞ্জ নয়, পুরান ঢাকা, গুলশান, উত্তরা এলাকা থেকে মনোনয়ন পেলেও প্রার্থী হতে রাজি ফারুক। ইতোমধ্যে
নির্বাচনের প্রস্তুতিও শুরু করেছেন সাবেক এ ছাত্রলীগ নেতা।
ষাটের
দশকে ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত থাকা অবস্থায় রাজনীতির মাঠে নিয়মিত দেখা গেছে ফারুককে। মাঠে
ছিলেন ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের সময়ও। একাত্তরে
যোগ দেন মুক্তিযুদ্ধে। মুক্তিযুদ্ধ
পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সান্নিধ্যও পান তিনি।
চলচ্চিত্রে
নাম লেখানোর পর রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে খানিকটা দূরে সরে যান তিনি। অভিনয়ে
ব্যস্ততার কারণেই তখন রাজনীতিতে নিয়মিত হতে পারেননি বলে জানালেন তিনি।
ফারুক
বলেন, নব্বইয়ের দশকে একবার আ. লীগ থেকে প্রস্তাব পেলেও সেবার নির্বাচন করেননি তিনি।
কারণ
হিসেবে বলেন, “আব্দুল মালেক উকিল সাহেব (প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা) বলেন, তুই কালীগঞ্জ থেকে নির্বাচন কর। আমি
বললাম, রমনা থেকে করব। উনি
বললেন, সেখান থেকে তো বঙ্গবন্ধু নির্বাচন করতেন। এবার
জননেত্রী সেখান থেকে নির্বাচন করবেন। পরে
আমি ফিল্মে ব্যস্ততার কারণে কালীগঞ্জ থেকে নির্বাচন করিনি।”
গাজীপুর-৫ আসনে নৌকার মনোনয়ন পেতে চুমকিই শুধু নয়, ডাকসুর সাবেক ভিপি আখতারুজ্জামানের সঙ্গেও লড়তে হবে ফারুককে। চুমকির
আগে ওই এলাকায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন আখতারুজ্জামান।
গত
কয়েক দশকে কালীগঞ্জের নেতৃত্বে থাকাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ফারুক বলেন, “আমার পেটের উপর ভর করে পুরো এলাকাটাকে শেষ করে দিয়েছে। দেশের
মানুষদের রক্ষা করতে হবে। কালীগঞ্জের
কোনো উন্নয়ন নেই। এভাবে
হতে দেওয়া যায় না।”