প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ব্রিটেনের কেইম্যান আইল্যান্ডে নিযুক্ত গভর্নর আনোয়ার চৌধুরীকে তার পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। লন্ডন
সফররত কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জের সরকার প্রধান প্রিমিয়ার এলডেন ম্যাকলাইন এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি
জানিয়েছেন, সে দেশের ওভারসিস টেরিটরিজ মন্ত্রী লর্ড আহমেদ মঙ্গলবার তাকে ‘হাউস অব লর্ড’-এ ডেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছেন। আনোয়ার
চৌধুরীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তদন্তাধীন বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে
অভিযোগের ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যায়নি।
বাংলাদেশি
বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ হিসেবে আনোয়ার চৌধুরী অনেকটা রোল মডেল বিবেচিত। বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময় তিনি দেশে-বিদেশে পরিচিতি পান। সিলেটের সন্তান আনোয়ার চৌধুরীকে গভর্নরের দায়িত্ব থেকে সাময়িক প্রত্যাহার করায় সেখানকার বাংলাদেশি কমিউনিটিতে বিস্ময় সৃষ্টি হয়েছে।
কেইম্যান
আইল্যান্ডের প্রিমিয়ার এলডেন ম্যাকলাইন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জের গভর্নর পদ থেকে আনোয়ার চৌধুরীকে সাময়িক বরখাস্ত করতে মন্ত্রী আমাকে আনুষ্ঠানিক নির্দেশ দিয়েছেন।’ তদন্ত
শুরুর স্বার্থেই তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ফরেন
ও কমনওয়েলথ কার্যালয় তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তদন্ত করবে। ম্যাকলাইন
জানান, আনোয়ার চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে নিয়োজিত ফরেন ও কমনওয়েলথ অফিস এ ব্যাপারে জনসম্মুখে কোনও বিবৃতি হাজির করতে অনিচ্ছুক। সে
কারণেই মন্ত্রী এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাতে রাজি হননি।
আনোয়ার
চৌধুরীর বিরুদ্ধে ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ তদন্ত চলতে পারে বলে আভাস দেন ম্যাকলাইন। তিনি
জানান, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ডেপুটি গভর্নর ফ্রাঞ্জ মেন্ডসন ভারপ্রাপ্ত গভর্নরের দায়িত্ব পালন করবেন। ‘স্পিকার,
মন্ত্রিসভা, ককাস এবং বিরোধীদলীয় নেতাকে আমি এ ব্যাপারে যথাযথ নির্দেশনা দিয়েছি। তিনি
এ ঘটনাকে দুঃখজনক আখ্যা দিলেও আশ্বস্ত করেন, কেইম্যানের শাসন ব্যবস্থায় এর কোনও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না’।
এদিকে
গভর্নরের কার্যালয় থেকে দেওয়া এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে ম্যাকলাইনের মন্তব্যের পুনরাবৃত্তি করে বলা হয়, আনোয়ার চৌধুরীকে তার পদ থেকে সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে, এবং বিদেশি ও কমনওয়েলথ অফিসকে তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের তদন্ত করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়
সংবাদ সংস্থা কেইম্যান নিউজ এজেন্সি (সিএনএস) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আনোয়ার চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোর ধরন কী, সেগুলো ব্রিটিশ নাগরিকদের অভিযোগ নাকি অন্য কারও, সে ব্যাপারে কিছুই জানা যায়নি।