পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় চুরি মামলায় চরহোসনাবাদ ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার আরবী প্রভাষক ও চরহোসনাবাদ বাইতুল আমান জামে মসজিদের প্রধান ঈমাম মাওলানা মোহাম্মদ মাছুম বিল্লাহ্কে গ্রেফতার করেন থানা পুলিশ। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চুরি মামলায় ওয়ারেন্ট রয়েছে বলে থানা পুলিশের দাবি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের মরহুম আঃ ছত্তার হাওলাদারের ছেলে মোঃ মকবুল হাওলাদার নলখোলা বন্দরে যুবলীগ নেতা আল-মামুন প্যাদার টিকেট কাউন্টারে (পটুয়াখালী-দশমিনা ও দশমিনা-বরিশালগামী বাস) কলম্যানের কাজ করে। চলতি মাসের ১৩ তারিখ বিকালে চরহোসনাবাদ ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার আরবী প্রভাষক ও চরহোসনাবাদ বাইতুল আমান জামে মসজিদের প্রধান ঈমাম মাওলানা মোহাম্মদ মাছুম বিল্লাহ্সহ চারজনে কাউন্টারে এসে শলাপরামর্শ করার জন্য বসে। এ সময় মোঃ মকবুল হাওলাদার বাস কাউন্টার এলকায় ব্যাক্তিগত কাজে যায়। নিজের কাউন্টারে ফিরে মাছুম বিল্লাহ্সহ সঙ্গীয় ৩জনকে দেখা যায়নি ও ক্যাশ টেবিলের ড্রয়ারের তাল ভাঙ্গা, কাগজপত্র এলোমেলো এবং এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা নেয়ার অভিযোগে ১৫ জুলাই দশমিনা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দ্বায়ের করেন। মামলার বাদি মোঃ মকবুল হাওলাদার,  মাওলানা মোহাম্মদ মাছুম বিল্লাহকে প্রধান আসামী ও ২নং আসামী মোঃ জসিম উদ্দিন ছাড়াও অজ্ঞাত ২জনসহ চার জনকে আসামী করেন।
ওই মামলার ঘটনায় দশমিনা থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় মামলার প্রধান আসামী মাওলানা মোহাম্মদ মাছুম বিল্লাহকে গ্রেফতার করে।
স্থানীয় শাহদাৎ সিকদার এ প্রতিনিধিকে বলেন, জেলার দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া এলাকায় হাজি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন গাজীর ছেলে আমাদের গ্রামের চরহোসনাবাদ বাইতুল আমান জামে মসজিদের প্রধান ঈমাম মাওলানা মোহাম্মদ মাছুম বিল্লাহ্। তাকে মিথ্যে মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। মাছুম হুজুর ও তার পরিবার ইসলামি শরিয়া মোতাবেক চলাফেরা করেন। মামলার বাদির সাথে তাঁর পরিচয় সখ্যতা নেই।
চরহোসনাবাদ ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নূরে আলম ছিদ্দিকী বলেন, মাওলানা মোহাম্মদ মাছুম বিল্লাহ্ বিগত ০১.০৭.২০১৩ তারিখে অত্র মাদরাসায় আরবী প্রভাষক হিসেবে যোগদান করিয়া সুনামের সাথে চাকুরী করিয়া আসিতেছেন। তিনি ছারছিনা মাদরাসার ছাত্র ও ছারছীনার শাহ সূফী হযরত মাওলানা মহিবুল্লাহ পীর সাহেব কেবলার সুযোগ্য মুরিদ হিসেবে দশমিনায় তালিম করেন। মামলার বাদী ঘটনা মিথ্যে ঘটনায় সৃজন করেছেন।

 
Top