নিজস্ব সংবাদদাতা , ফুলতলা, খুলনা ঃ
ফুলতলা বাজারের মেসার্স ফুলতলা ফার্ণিচার হাউস ও মেসার্স গাজী এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে গতকাল প্রতিপক্ষরা প্রশাসনের পরোক্ষ সহযোগিতায় প্রায় ১২/১৩ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক শেখ লুৎফর রহমান থানায় মামলা দিতে গেলে মামলা গ্রহণ না করে তাকে কোর্টে যাওয়ার পরামর্শ দেন। শেখ লুৎফর রহমানের লিখিত অভিযোগে জানা যায় ফুলতলা বাজারে যশোর খুলনা মহাসড়কের পূর্ব পাশে বাস ষ্ট্যান্ড এলাকায় একটি জমি ক্রয়সূত্রে মালিক হয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জমিটি নিয়ে তার প্রতিপক্ষ সরদার আবিদ হোসেন গং এর সহিত দীর্ঘদিন ধরে কয়েকটি মামলা চলে আসছিল। বর্তমানে মামলা গুলি মাননীয় সুপ্রীম কোর্টে বিচারাধিন রয়েছে। এই অবস্থায় গত ৩১.০৩.২০১৫ তারিখ দিবাগত রাত্রে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে ইটের প্রাচীর ও এক গাড়ী বালি ফেলে প্রতিষ্ঠানটি অবরুদ্ধ করে রাখে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক শেখ লুৎফর রহমান স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনীতিবিদদের নিকট বহু দেন দরবার করেও কোন সমাধান পাননি। সেই থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৪ মাস ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিল। হঠাৎ গত ২১ জুলাই ভোর ৫ টায় অবরুদ্ধ ঘরের ভিতর দিক থেকে ভেঙ্গে সমস্ত মালামাল লুট করা হয়। এ সময় শেখ লুৎফর রহমানের পরিবারের লোকজন ঘটনা স্থলে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাদেরকে লাঞ্চিত করে এবং মালামাল গুলো নিয়ে যায়। পরে নিরুপায় হয়ে আদালতে মামলার প্রস্তুতি চালাচ্ছেন এবং সংবাদ কর্মীদের দারস্ত হয়েছেন। তিনি আরও লিখিত আবেদনে আরও জানান প্রশাসনের নাকের ডগায় কোর্টের জারী করা এস.টি ২১৬/১৫ নং মামলা, ১৪৪/১৪৫ ধারা উপেক্ষা করে প্রতিপক্ষ এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তাছাড়া এই সংক্রান্ত কোর্টে এম.পি ১৩৩/১৫ ধারা, ১৩৩ পেন্ডিং আছে, যার পরবর্তী তারিখ ২২ জুলাই ২০১৫। এছাড়াও দেওয়ানী মামলা ৫২/১৫ বিচারীন। এর পূর্বে এই জমির মালিকানা নিয়ে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টে মামলা নং-এস.টি ২৯২২/১৩ পেন্ডিং আছে। এই জমি সংক্রান্ত আগে দুইটি মামলায় খুলনা জজ কোর্টে সরদার আবিদ হোসেন পরাজিত হয়ে মহামান্য হাই কোর্টে আপিল করেছে, মামলা নং-১১৯৮/০৯ ও বিচারাধীন মামলা নং-৫৫৫৬/০৩, যার ইনফরমেশন স্লিপ তিনি সংবাদ কর্মীদের কাছে আবেদনের সাথে যুক্ত করেন। শেখ লুৎফর রহমান এই অবস্থা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য উর্ধ্বতন প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ করেন। এ ব্যাপারে সরদার আবিদ হোসেন সহিত যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে ফুলতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ইলিয়াচ ফকির জানান থানায় উভয়পক্ষ মামলা দায়ের করেছে।
 
Top