বাঘাইছড়িতে ৫ মেঃ টন চাউল উদ্ধার, ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বাঘাইছড়িঃ-বাঘাইছড়ি উপজেলায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ভিজিএফ কর্মসূচীর আওতায় বিতরনকৃত চাউলের ১০০ বস্তায় ৫.০০ মেঃ টন চাউল থানা পুলিশ কতৃক জব্ধ করা হয়েছে এবং আমতলী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাহেব আলীসহ ৬জনকে আসামী করে বাঘাইছড়ি থানায় মামলা নং ১তারিখ১/৭/১৫ইং ধারা ৪০৯/১০৯ দন্ডবিধি তৎসহ ১৯৭৪ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ২ধারা রজু করা হয়েছে। ঘটনাটি মঙ্গলবার বিকাল আনুমানিক ৫ ঘটিকায় আমতলী ও মাহিল্যা বাজারে ঘটে।

এব্যাপারে বাঘাইছড়ি থানা অফিসার ইনর্চাজ মোঃজাকির হোসেন ফকির বলেন, ভিজিএফ’র চাউল গুলি একজন টেক অফিসার ও একজন পুলিশ অফিসারের উপস্থিতিতে বিতরনের কথা থাকলেও তাহা না করে মাহিল্যা বাজারে ৪টি দোকানে, আমতলী সঃপ্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দায় ও পাবলাখালী লঞ্চ ঘাটের যাত্রী ছাউনিতে ছিল অসৎ উদ্দেশে আত্মসাৎ করার জন্য ১০০ বস্তা চাউল  রাখার অপরাধে জব্ধ করনসহ বাঘাইছড়ি থানায় মামলা নং১তারিখ ১/৭/২০১৫রজু করা হয়েছে।

এব্যপারে আমতলী ইউপি চেয়াম্যান মোঃসাহেব আলী বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে হতদরিদ্রদের মধ্যে বিতরনের জন্য প্রাপ্ত ৫ মেঃটন চাউল আমতলী ইউনিয়ন পরিষদে (ভাড়া ঘর) রাখা নিরাপদ ছিলনা তথা ঐঘরের মালিক আলী হোসেন মেম্বার চাউল গুলি ইউনিয়ন পরিষদের ভাড়া ঘরে রাখতে না দেওয়ায় উপকার ভোগীদের সুবিধার্থে এবং দুর্গম ও ভৌগলিক অবস্থার কারনে ও জনস্বার্থে মাহিল্যা বাজারে ও আমতলী সঃপ্রাঃবিদ্যালয়ে বিতরনের জন্য চাউল গুলি রাখা হচ্ছিল।এ অবস্থায় কে বা কাদের ইন্দনে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য চাউল গুলি পুলিশ কর্তৃক জব্ধ করানো হয়।কোন অসৎ উদ্দেশ্যে বা আত্মসাতের জন্য চাউল গুলি ঐভাবে রাখা হচ্ছিল না। ৩০ জুন বিতনের উদ্দেশ্যে ২৯ জুন দুরছড়ি খাদ্য গুদাম হতে চাউল গুলি উত্তোলন করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, আমতলী ইউনিয়ন পরিষদে ৫.০০ মেঃ টন চাউল এক সাথে রাখার মত কোন গুদাম না থাকায় আমতলী সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাহিল্যা বাজার গুদাম জাত করা হচ্ছিল।