পড়শি নাগাল্যান্ড সীমান্তবর্তী অসমের গোলাঘাট জেলার মেরাপানি থানাধীন গ্রামগুলিতে তোলা আদায়, নাগাফ্র্যাম ওয়ার্ক চুক্তিকে কেন্দ্র করে রাজ্যের পরিস্থিতি যখন উত্তাল, তখন নানা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ওই সব সীমান্তে ধর্মান্তরণের অন্য এক পন্থা নিয়েছে নাগা জঙ্গি সংগঠন এনএসসিএন (আইএম) ফলে অসম-নাগাল্যান্ড সীমান্ত-গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার বাসিন্দা এক চূড়ান্ত নিরাপত্তাহীনতার শিকার হচ্ছেন ভিটে-মাটি, প্রাণের মায়ায় অবশেষে তাঁরা নিজের হিন্দু ধর্ম ছেড়ে খ্রিষ্টান হতে বাধ্য হচ্ছেন, জানিয়েছেন খোদ ভুক্তভোগীরা
ভুক্তভোগীদের উদ্ধৃতি এবং সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করে এসে এক বিশেষ সূত্র জানিয়েছে, এনএসসিএন-এর নেতৃত্বে স্থানীয় অসমিয়া হিন্দু বাসিন্দাদের গণ-ধর্মান্তরণের কাজ বেপরোয়াভাবে চালানো হচ্ছে সীমান্তবর্তী ওই সব গ্রামে বিশেষ করে গোলাঘাট, যোরহাট, চরাইদেও এবং নাজিরা জেলার সীমান্তবর্তী গ্রামে মোটা অঙ্কের তোলা আদায়, খুন, অপহরণের পাশাপাশি ধর্মান্তরণ প্রক্রিয়ার গতি বেড়েছে গত প্রায় মাস-দেড়েক ধরে, জানিয়েছে সূত্রটি
বলা হচ্ছে, রাজ্য সরকারের উদাসীনতার সুযোগ নিয়ে নাগা দুর্বৃত্ত তথা জঙ্গিরা সীমান্তবাসীদের নানা ধরনের উপদ্রব করে চলেছে সমানে সূত্রের খবর, ধর্মান্তরণের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার গির্জা-প্রধানের দায়িত্বে বসানো হয়েছে এনএসসিএন-এর এক-এক ক্যাডারের ওপর সে অনুযায়ী তারা ওই চার জেলার মোট ৪০ হাজার জনজাতি অসমের স্থানীয় হিন্দু বাসিন্দাদের টার্গেট করেছে ধর্মান্তরণের এই কাজে অনেকটাই তারা সাফল্য লাভ করছে বলে সূত্র জানিয়েছে
প্রসঙ্গত, গোলাঘাট জেলার সরুপথার, উরিয়ামঘাটের বি সি সেক্টরের প্রায় ১৫টি গ্রামর ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ অসমিয়া আদিবাসী স্থানীয়দের ধর্মান্তরিত করে নিজেদের কবজায় নিতে মরিয়া প্রচেষ্টা চালিয়েছে উরিয়ামঘাটের রোমানবস্তি, সান্দলাংসুং প্রভৃতি নাগা অধ্যুষিত গ্রাম ছাড়াও অসমিয়া বসতিপ্রধান অঞ্চলে গির্জা স্থাপন করা হয়েছে সব গির্জা থেকেই ধর্মান্তরণের অভিযান চালানো হচ্ছে কেবল তা- নয়, অসম ভূখণ্ডে গত মাস-দেড়েকের মধ্যে নতুন করে বাঁশ-বেত-টিনের ছাউনি দিয়ে আট-দশটি গির্জা গড়া হয়েছে বলে খবর দিয়েছে সূত্রটি

 
Top