পবিত্র মক্কা নগরীতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিশ্বের অনেক দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংগঠন। সৌদির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে তারা স্পষ্টভাবে এই নৃশংস ঘটনার নিন্দা জানায়। পবিত্র মক্কা নগরী থেকে প্রায় ৬৫ কি.মি. দূরে বৃহস্পতিবার ক্ষেপণাস্ত্র হামালা চালায় ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা।
নিন্দা জানান জার্মান রাষ্ট্রদূত ডেইটাই ডাব্লিউ হলার। তিনি বলেন, যারা ইয়েমেনে আছেন তাদের জন্য শান্তির পথে আসা জরুরি। এই সংকট সমাধানে ইয়েমেনে নিয়োজিত জাতিসংঘের দূত ইসমাইল আউলাদ শেইখ আহ্মেদকে উদ্যোগ গ্রহণ করার আহবান জানান তিনি।
মক্কায় হামলার নিন্দা জানিয়েছেন নরওয়ের রাষ্ট্রদূত রোলফ উইলি হানসেন। তিনি বলেন, সকল শান্তি প্রিয় মানুষের জন্য এই হামলা নিন্দাজনক। আমি সত্যিই মনে করি আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে এই বিষয়টির সমাধান হওয়া উচিৎ। যুক্তরাষ্ট্র থেকে টেলিফোনে তিনি এই নিন্দা জানান।
মক্কায় হামলার নিন্দা জানান ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত পেখা ভাউটিলাইনিন। তিনি বলেন, মক্কার মাটিতে এ ধরনের নৃশংস হামলা নিন্দাজনক এবং তা মেনে নেওয়া যায় না। ইয়েমেনে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য জাতিসংঘের এগিয়ে আসা উচিৎ বলে তিনি মনে করেন।
হুথি বিদ্রোহীদের এ ধরনের হামলা শান্তি প্রক্রিয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করবে এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হবে বলে মনে করেন ভারতের রাষ্ট্রদূত আহমেদ জাবেদ। পবিত্র স্থানকে উদ্দেশ্য করে ওই হামলাকে তিনি তীব্র নিন্দা জানান।
নিন্দা জানান পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরউল হক। বলেন, পবিত্র নগরীকে লক্ষ্য করে যে হামলা করা হয়েছে ওই সংবাদটি বিশ্বের প্রতিটি মুসলিমের জন্য বেদনাদায়ক। মক্কা নগরী বা এর আশেপাশে হামলার জন্য তীব্র নিন্দা জানান পাকিস্তানের এই রাষ্ট্রদূত।
পবিত্র নগরী মক্কায় ক্ষেপনাস্ত্র হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। রাষ্ট্রদূত গোলাম মসি বলেন, বাংলাদেশ হুথি বিদ্রোহীদের এই জঘন্য কাজের নিন্দা করছে। এটা শুধুমাত্র সৌদি আরবকে হামলা করা নয় বরং ইসলামের উপর ইচ্ছাকৃত আক্রমণ বলেও মনে করেন গোলাম মসি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ সেনা প্রস্তুত পবিত্র মক্কা ও মদিনাকে রক্ষা করতে।
এছাড়াও তুরষ্ক, মিশর, বাহরাইন, ইরান, জর্ডানসহ আরো দেশ ও বহু আন্তর্জাতিক সংগঠন পবিত্র মক্কা নগরীতে ওই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তারা সবাই ইয়েমেন- সৌদি সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান করেছেন।
 
Top