বগুড়ার ধুনট উপজেলায় মুকুল হোসেন (২২) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে এক স্কুলছাত্রীকে
ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে মেয়েটির বাবা বাদি হয়ে ধুনট থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকে মুকুল পলাতক রয়েছেন।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ছয় মাস ধরে নবম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন একই গ্রামের মুকুল হোসেন। কিন্ত তার প্রেমে সাড়া দেয়নি ওই স্কুলছাত্রী। বিষয়টি স্কুলছাত্রীর
পরিবারের পক্ষ থেকে মুকুলের অভিভাবকদের জানানো হয়। এতে মুকুল ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
পরে গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই স্কুলছাত্রীর
বাবা-মা পাশের গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। এ সুযোগে রাত ১০টার দিকে মুকুল ও তার দুই সহযোগী ওই স্কুলছাত্রীর
ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢোকে। এর পর মেয়েটিকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেন মুকুল। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে প্রতিবেশীরা
এগিয়ে আসলে মুকুল ও তার দুই সহযোগী পালিয়ে যান। তবে পালানোর সময় মুকুলের সঙ্গে প্রতিবেশীদের ধস্তাধস্তির
এক পর্যায়ে তার গামছাটি কেড়ে নেন তারা।
ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর বাবা জানান, বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য মুকুলের প্রভাবশালী বাবা মামলা না করার জন্য ভয়ভীতি দেখান। এ কারণে থানায় মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে।
ধুনট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে ওই স্কুলছাত্রীকে
উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। মামলা দায়েরের পর মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামীকে গ্রেপ্তারের
চেষ্টা চলছে।
এ ঘটনার তিন দিন আগে ধুনটে একই কারণে আরও এক স্কুল ছাত্রী 'ধর্ষণের' শিকার হন।