১৯৫৯ সালে জগদীশ গান্ধী ও তার স্ত্রী ভারতী ধার করা তিনশ’ রুপি ও মাত্র পাঁচজন ছাত্র নিয়ে স্কুলটি শুরু করেন। বর্তমানে লখনৌ শহরের ২০টি স্থানে এ স্কুলের ভবন রয়েছে। স্কুলটি জাতীয় পরীক্ষায় চমৎকার ফল করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ছাত্র বিনিময় কর্মসূচিতে তাক লাগানো ফলাফল করছে। ৭৫ বছর বয়সী জগদীশ গান্ধী এখনো স্কুলটির ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত আছেন। স্কুলের ছাত্রদের বয়স ৩ থেকে ১৭ বছর। প্রতি ক্লাসে ছাত্রসংখ্যা ৪৫ এবং সব ছাত্রকে স্কুল ইউনিফর্ম পরতে হয়।
তবে সব ছাত্র কখনোই একসাথে এসেম্বিলিতে যায় না। কারণ, তাদের সবাইকে একত্রে ধারণ করার মত কোন জায়গা লখনৌ শহরে নেই। ভারতের লখনৌ নগরীর ‘সিটি মন্টেসরি স্কুল’ বা সিএমএস- কে ছাত্রসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্কুল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে গিনিজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড।
স্কুলটি এ পর্যন্ত কোনো সরকারি অর্থ সাহায্য নেয়নি। নিচের ক্লাসের ছাত্র বেতন মাসে এক হাজার রুপি এবং ওপরের ক্লাসে আড়াই হাজার রুপি। এর আগে ২০০৫ সালে প্রথম ছাত্র সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্কুল হওয়ার গৌরব অর্জন করে সিএমএস। সে সময় ছাত্র সংখ্যা ছিল ২৯ হাজার ২১২ জন। তার আগে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্কুল হিসেবে গণ্য হতো ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলার রিজাল হাইস্কুল এবং এর ছাত্রসংখ্যা ছিল ১৯ হাজার ৭৩৮ জন।