কথিত
আছে, মানুষের ভাগ্য মানুষই তৈরি করে। অনেকেই
বলে থাকেন, ভাগ্য বলে কিছু নেই। তা হলে ভাগ্য কী বস্তু? এই ভাগ্য সম্পর্কে অনেকে অনেক রকম এবং বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তবু
বলি, ভাগ্য শব্দটির অর্থ অদৃষ্ট। কখন
কী ঘটবে তা আমাদের দৃষ্টি বা চিন্তার বাইরে বা অগোচরে। মনে
রাখতে হবে, আমাদের আয়ত্তে যা কিছু তা কর্ম হিসাবে ধরা যায়। আর
যা আমাদের নাগালের বাইরে সেটা হল ভাগ্য।
এখন
দেখে নেওয়া যাক জাতচক্র বা রাশিচক্র অনুযায়ী জাতক বা জাতিকার পক্ষে কোন কোন গ্রহ অশুভ বা খারাপ সময় আনবে (কর্কট, সিংহ ও কন্যা লগ্নের ক্ষেত্রে)-
কর্কট-
বুধ,
শুক্র ও শনি এই লগ্নের ক্ষেত্রে পাপ বা অশুভ গ্রহ। এখানে
বুধ তৃতীয় ও দ্বাদশে অধিপতি। এই
অকারক বুধের জন্য জাতকের উৎসাহ ভেঙে যায়, ব্যবসায় আসে অসাফল্য। শুক্র
চতুর্থভাবের অধিপতি হওয়ার কারণে কেন্দ্রাধিপতি দোষে দুষিত হয়। এবং
একাদশ অধিপতি হয়ে অশুভ ফল দেয়। এর
ফলে পারিবারিক সুখ-শান্তি বিঘ্নিত হয় এবং আমদানিতে বাধা আসে। আবার
শনি গ্রহ সপ্তম ও অষ্টমভাবের অধিপতি হয়ে অশুভ হয়। এর
ফলে জীবনে হঠাৎ দুর্ঘটনা ও দুঃখপূর্ণ ঘটনা ঘটে।
সিংহ-
এই
লগ্নে বুধ, শুক্র ও শনি অশুভ। বুধ
এই লগ্নে দ্বিতীয় ও একাদশভাবের অধিপতি হওয়ার আর্থিক পরিস্থিতিতে উত্থান-পতন লক্ষ্য করা যায় এবং অকাল মৃত্যুর ভয় থাকে। শুক্র
তৃতীয় ও দশম ভাবের অধিপতি হওয়ার জন্য উৎসাহহীনতা ও কর্মক্ষেত্রে বাধা নির্দেশ করে। শনি
ষষ্ঠ ও সপ্তম ভাবের অধিপতি হয়ে প্রবল শুত্রু হয়। রোগ,
ঋণ ও শত্রুতার দ্বারা নানাবিধ বাধার সৃষ্টি করে।
কন্যাঃ-
এই
লগ্নের অশুভ বা পাপগ্রহগুলি হল বৃহস্পতি, চন্দ্র ও মঙ্গল। বৃহস্পতি
এখানে চতুর্থ ও সপ্তম ভাবের অধিপতি। তার
ফলে কেন্দ্রাধিপতি দোষে দুষ্ট হয়। সেই
জন্য পারিবারিক ও দাম্পত্য সুখের হয়। আবার
চন্দ্র একাদশ ভাবাধিপতি। এর
ফলে আমদানিতে বাধা আসে। মঙ্গল
এই লগ্নে তৃতীয় ও অষ্টম ভাবাধিপতি হওয়ার জন্য অশুভ মঙ্গলের কারণে হঠাৎ দুর্ঘটনা ও ঝগড়া-বিবাদ যোগ লক্ষ্য করা যায়।