ধর্ষণের
মামলায় জামিন পেলেও শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়ে গেল অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর ছেলে মহাক্ষয় ওরফে মিমোর বিয়ে।
রোববার
ভারতের তামিলনাড়ুর নীলগিরি জেলার উধগমন্ডলমের একটি হোটেলে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। বিলাসবহুল
এই হোটেলটি মিঠুনেরই।
হোটেলেটিতে
তদন্তকারীরা উপস্থিত হওয়ার পরেই বিয়ে বাতিল করে দিয়ে ফিরে গেছে কনেপক্ষ।
আনন্দবাজারের
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছু দিন আগে এক নারীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগ ওঠে মিমোর বিরুদ্ধে।
কিন্তু
তা সত্ত্বেও বিয়ে বাতিল করেননি কনে মদালসা শর্মার পরিবার। পূর্ব
পরিকল্পনা অনুযায়ী আজই তাদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।
মিমোর
বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে চার বছর ধরে এক নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক রেখেছিলেন তিনি।
অভিযোগকারী
ওই নারী ভোজপুরী অভিনেত্রী। তার
অভিযোগ, ধর্ষণের পর তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাকে ওষুধ খাইয়ে গর্ভপাত করান মিঠুনের স্ত্রী যোগিতা বালি।
ছেলের
সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকিও দেন যোগিতা। ওই
অভিনেত্রী জানিয়েছেন, এর পরই ভয়ে মুম্বাই থেকে দিল্লি চলে যান তিনি। পরে
রোহিণী থানায় মিমোদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
এই
সপ্তাহের শুরুতে দিল্লির এক আদালত জানান, মিমো ও যোগিতার বিরুদ্ধে এফআইআর করার মতো যথেষ্ট প্রমাণ আছে।
বৃহস্পতিবার
গ্রেফতার এড়াতে মুম্বাই হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন মিমো ও তার মা। সেই
আবেদন খারিজ করে বিচারপতি তাদের দিল্লির সংশ্লিষ্ট আদালতে গিয়ে আবেদন জানাতে বলেন। এর
পর আজ দিল্লির আদালত এক লাখ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে মা-ছেলের জামিন দেন।