ব্যক্তিগত
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদান-প্রদানে অনেকেই গুগলের জিমেইলের ওপর ভরসা রাখেন। কিন্তু
জিমেইলের বিরুদ্ধে ‘ভয়ংকর’ এক অভিযোগের কথা উঠেছে: গুগল ব্যবহারকারীদের মেইল অন্য কাউকে পড়তে দেয়। গুগল
কর্তৃপক্ষ সে কথা স্বীকারও করেছে। তারা
বলছে, এসব তাদের নীতিমালাতেই আছে।
বিবিসির
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিমেইল ব্যবহার করে যে বার্তা পাঠানো কিংবা গ্রহণ করা হচ্ছে, তা কেবল মেশিনই না, কখনো কখনো থার্ড পার্টি বা তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ ডেভেলপার পড়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে সার্চ জায়ান্ট গুগল।
থার্ড
পার্টি অ্যাপ বলতে অফিসিয়াল অ্যাপ ছাড়া তৃতীয় কোনো নির্মাতার অ্যাপকে বোঝানো হয়। যেমন
আপনি যদি ফেসবুক, গুগল কিংবা টুইটারের অ্যাপ প্লে স্টোরে খোঁজেন, তবে দেখবেন তাদের নিজস্ব অ্যাপ ছাড়াও বিভিন্ন অ্যাপ সেখানে রয়েছে। যেগুলো
অন্যান্য ডেভেলপারের তৈরি। এগুলোই
হচ্ছে থার্ড পার্টি অ্যাপ।
যাঁরা
গুগলের জিমেইল অ্যাকাউন্টের সঙ্গে থার্ড-পার্টি অ্যাপ যুক্ত করেন, তাঁরাই অসচেতনভাবে অন্য মানুষকে জিমেইলের মেইল পড়ার অনুমতি দিয়ে দেন।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে এমনটাই বলেছে প্রতিষ্ঠানটি। এটি একটি খুবই স্বাভাবিক চর্চা। যেটি খুবই নোংরাভাবে গোপন রাখা হয়।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে এমনটাই বলেছে প্রতিষ্ঠানটি। এটি একটি খুবই স্বাভাবিক চর্চা। যেটি খুবই নোংরাভাবে গোপন রাখা হয়।
এ
ধরনের চর্চা তাদের নীতিমালার বাইরে নয় বলে ইঙ্গিত দিয়েছে গুগল। একজন
নিরাপত্তা বিশ্লেষক বলেন, এটি খুবই বিস্ময়কর যে গুগল এ ধরনের চর্চার অনুমতি দিয়েছে।
ই-মেইল সেবায় পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে জিমেইল। ১৪০ কোটি লোক এ সেবা ব্যবহার করেন।
ই-মেইল সেবায় পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে জিমেইল। ১৪০ কোটি লোক এ সেবা ব্যবহার করেন।
গুগল
এখন তাদের ই-মেইল ব্যবহারকারীদের ভ্রমণ পরিকল্পনা, পণ্যমূল্য তুলনা করার মতো থার্ড পার্টি ই-মেইল ব্যবস্থাপনা টুল বা সেবা তাদের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত করার অনুমতি দেয়। এ
ধরনের অ্যাপের সঙ্গে জিমেইল যুক্ত করার সময় জিমেইল পড়ার, বার্তা পাঠানোর এমনকি মেইল ব্যবস্থাপনার অনুমতিও দেওয়া লাগে।
ওয়াল
স্ট্রিট জার্নাল বলছে, সাধারণভাবে কম্পিউটারের অ্যালগরিদমের মাধ্যমে এসব ই-মেইল প্রক্রিয়াকরণ করা হয়ে থাকে, তবে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে পত্রিকাটি জেনেছে ওই সব প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা ‘হাজার হাজার’ ই-মেইল পড়েছে।
এ
নীতিমালার সমালোচনা করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইউনিভার্সিটি
অব সারির অধ্যাপক অ্যালেন উডওয়ার্ড বলেন, ‘আপনার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কয়েক সপ্তাহ নীতিমালা পড়েই কাটিয়ে দিতে পারবেন। এটা
স্পষ্ট করা যৌক্তিক তা আপনি সেখানে খুঁজে পাবেন না।
গুগল
বলছে, গুগলের অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানগুলোই কেবল ব্যবহারকারীর অনুমতি পেলে মেইলে ঢুকতে পারে। জিমেইল
ব্যবহারকারীরা চাইলে সিকিউরিটি চেক-আপ পেজে গিয়ে তাদের জিমেইল অ্যাকাউন্টের সঙ্গে কোন অ্যাপ যুক্ত আছে, তা পর্যালোচনা করতে পারেন। যে
অ্যাপের সঙ্গে তথ্য যুক্ত করতে চান না, তা বাতিল করে দিতে পারেন।