সংখ্যা,
যারা যুক্তিবাদী, যারা লজিক নিয়ে চর্চা করেন, যারা উচ্চতর গণিত চর্চা করেন, যারা উচ্চতর পদার্থবিদ্যা বা কোয়ানটাম ফিজিস্ক নিয়ে চর্চা করেন, বা যারা অর্থনীতি বা কমার্স নিয়ে চর্চা করেন, তাদের কাছে এক রকম মানে বহন করে। আর
যারা অকাল্ট বা গুপ্ত বিদ্যা চর্চা করেন, যারা মিষ্টিক বা রহস্য বিদ্যা চর্চা করেন, যারা অতীন্দ্রীয়বাদী বা সাইকিক, এদের কাছে সংখ্যা আর এক ভাবে প্রতিভাত হয়।
সংখ্যার
প্রাধানত দু’টি দিক, একটা যুক্তিবাদী দিক, অন্যটা রহস্যবাদী।
সে
দিক থেকেই বিভিন্ন সংখ্যা বা জন্ম তারিখ বলে আপনি কিসে থেকে ভয় পান। যেমন:
১-উচ্চস্থান থেকে পতন।
২,
১১, ২১- গভীর জল বা সমুদ্র।
৩,
১২, ২১- কুকুর, শৃগাল জাতীয় পশু থেকে।
১০-
মহাশূন্য বা প্রান্তর থেকে।
১৯-
বিড়াল জাতীয় প্রাণী থেকে।
২৮-বন্ধু বা আত্মীয়-স্বজন থেকে।
৩৭-
ঝড়, বজ্রপাত থেকে মৃত্যু ভয়।
৪,
১১, ২২- নিঃসঙ্গতার ব্যাধি থেকে।
৩১-
জনতার রোষ থেকে ভীতি।
২৯—
মৃত্যুভয়।
৩০-
অসুখ হলে বা রোগ হলে কে দেখবে!
৭,
১৬, ২৫- নারীর বা স্ত্রীলোক দ্বারা সম্মান খোয়ানো।
৩৪-
সন্মানহানি, গোপন ব্যাধি থেকে, অর্থ ক্ষতি থেকে।
৮,
১৭, ২৬, ৩৫-অস্ত্র, প্রস্তরখণ্ড দ্বারা আঘাত, মস্তিস্কে রক্ত ক্ষরণ।
সংখ্যার
আধ্যাত্মিক তাৎপর্য পুদুচেরী আশ্রমের শ্রীমার লেখা থেকে উদ্ধৃত করা হল:
১-মূল(অরিজিন)
২-সৃষ্টিশীলতা
৩-
সচ্চিদানন্দ
৪-
আত্মপ্রকাশ(মেনিফেস্টেশান)
৫-
শক্তি(পাওয়ার)
৬-
নব-সৃষ্টি(নিউ ক্রিয়েশান)
৭-
উপলদ্ধি(রিয়েলাজেশন)
৮-
জোড়া বর্ম বা আবরণ(ভিতরের এবং বাইরের শত্রু থেকে)
৯-
নব-জন্ম
১০-
সম্পূর্ণ(পারফেকশান)
১১-
উন্নতি
১২-
দুবার উন্নতি (আধ্যাত্মিক ও জাগতিক)
১৩-
রূপান্তর (ট্রান্সফরমেশান)