চার বছর আগে বাবা মারা গেছেন। শুক্রবার
মারা যান মা। মায়ের
চলে যাওয়া মেনে নিতে না পেরে কয়েক ঘণ্টা পর আত্মহত্যা করেছেন উত্তরা চৌধুরি ওরফে জুয়েল (১৯) নামের এক কলেজছাত্রী। শুক্রবার
রাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের তিলজলা থানা এলাকার চৌবাগায় এ ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ
বলছে, গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় সিলিং ফ্যানে ঝুলছিলেন উত্তরা চৌধুরি ওরফে জুয়েল (১৯)। তিনি
হেরম্বচন্দ্র কলেজের বাণিজ্য বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
প্রাথমিক
তদন্তের পর পুলিশের ধারণা, মানসিক অবসাদ থেকেই আত্মহত্যা করেছেন ওই ছাত্রী। স্থানীয়রা
বলছেন, মা-বাবার একমাত্র সন্তান ছিলেন উত্তরা। ২০১৪
সালে কিডনির সমস্যায় মারা যান তার বাবা। স্বামীকে
বাঁচাতে কিডনি দান করেছিলেন উত্তরার মা জুলি চৌধুরি। কিন্তু
সে চেষ্টা বিফল হয়। মৃত্যু
হয় উত্তরার বাবার।
ভারতীয়
একটি সংবাদমাধ্যম বলছে, কিডনি দান করার পর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন জুলি চৌধুরি। ৪
বছর ধরে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার
লিভারের সমস্যা নিয়ে দক্ষিণ কলকাতার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হন।
শুক্রবার
রাতে চিকিৎসকরা জানান, ব্রেন ডেথ হয়েছে জুলি চৌধুরির। খবর
পাওয়ার পর থেকেই চুপচাপ হয়ে যান উত্তরা। কারও
সঙ্গে কথা বলছিলেন না। রাত
১০টার দিকে নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। অনেক
ডাকাডাকিতেও সাড়া না মেলায়, দরজা ভাঙা হয়।
পুলিশ
বলছে, ঘরের ভেতরে সিলিং ফ্যান থেকে গলায় গোলাপি রঙের ওড়নার ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছিলেন ওই তরুণী। তাকে
উদ্ধার করে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।