পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে সাবেক ভারতীয় কূটনীতিবিদ মাধুরি গুপ্তকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। শুক্রবার ভারতের নয়া দিল্লির এক আদালত, পাকিস্তানের কাছে রাষ্ট্রীয় তথ্য পাচারের দায়ে তার বিরুদ্ধে এই রায় দিয়েছে। এ খবর দিয়েছে গালফ নিউজ। খবরে বলা হয়, পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে ভারতীয় হাই-কমিশনের অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি পদের দায়িত্বে ছিলেন মাধুরি। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, ‘নিঃসন্দেহে, তার অবস্থানের একজন ব্যক্তির কাছ থেকে এমনটা প্রত্যাশা ছিল যে, তিনি একজন সাধারণ নাগরিকের চেয়ে আরো বেশি দায়িত্বসম্পন্ন আচরণ করবেন। কেননা তাকে বিশ্বাস করে এত উচ্চ পর্যায়ের একটি পদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তার কর্মকাণ্ড এই দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে ও দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকির সৃষ্টি করেছে।’ উল্লেখ্য, রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করার জন্য আদালত তাকে জামিন দিয়েছে। শুক্রবার
মাধুরিকে অফিশিয়াল সিক্রেটস এক্ট(ওসিএ) ও অপরাধ ষড়যন্ত্রের দায়ে ভারতীয় দণ্ডবিধির আওতায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়। কিন্তু সামরিক সংক্রান্ত তথ্য পাচার না করায় তাকে দীর্ঘমেয়াদি সাজা থেকে রেহাই দেয়া হয়। মাধুরি
পাকিস্তানী কর্মকর্তাদের কাছে বেশ কিছু গোপন তথ্য পাচার করেছেন। এছাড়া, আইএসআই কর্মকর্তা মুবাশার রেজা রানা ও জামশেদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তার। ২০১০ সালে তার বিরুদ্ধে গোপন তথ্য পাচারের অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগপত্র অনুসারে, জামশেদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তার। এমনকি জামশেদকে বিয়ে করার পরিকল্পনাও করছিলেন তিনি। অভিযোগপত্রে বলা হয়, ইসলামাবাদে তার বাসভবনের একটি কম্পিউটার ও একটি ব্ল্যাকবেরি ব্র্যান্ডের ফোন ব্যবহার করে পাকিস্তানী গোয়েন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন ভারতীয় এই কর্মকর্তা। মাধুরির
দাবি তিনি নির্দোষ। তাকে পূর্বে ২০১০ সালের ২৭ এপ্রিল গুপ্তচরবৃত্তি ও তথ্য পাচারের দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে ২০১২ সালের ৭ জানুয়ারি অফিশিয়াল সিক্রেটস এক্ট এর আওতায় তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। কিন্তু একই বছরের ১০ জানুয়ারি তিনি জামিনে মুক্তি পান।