আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পাঠানোর পিছনে খেলা রয়েছে। খেলাটা হচ্ছে, ২০১৪ সালের জানুয়ারীর নির্বাচন যখন বানচাল করতে পারলো না, যখন সন্ত্রাস জঙ্গী দিয়ে আমাদের সাথে পারলো না। তখন রোহিঙ্গাদের এখানে পাঠিয়ে দেওয়া হলো। যদি সেদিন শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় না দিত। তাহলে বলা হতো শেখ হাসিনা মুসলমানদের ঠাঁই দেয় নাই। খেলাটা কেমন? আসলে আইএসআই, মায়ানমার এবং আরও কিছু আন্তর্জাতিক চক্র এদের পাঠিয়েছে। যাতে আমাদের অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়ে এবং দেশ অস্থিতিশীল হয়ে যায়। কৃষিমন্ত্রী আজ শনিবার ( জুন) শেরপুরের নকলা উপজেলায় দিনব্যাপী বিভিন্ন ঈদ সামগ্রী বিতরণ সমাবেশে এসব কথা বলেন।


কৃষিমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা ৭৮ এসেছিল। সেদিন জিয়া তাদের দেখতে যায়নি। ৯২ এসেছে, বেগম জিয়া তাদের খোঁজ নেননি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার মা, তাই তিনি ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছেন। এদের খাবার মাথা গোজার ব্যবস্থা করছেন। সর্বশেষ ভাসানচরে তাদের জন্য পাকাঘরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে এবং প্রথমবারের মত স্মার্ট কার্ড দিয়ে তাদের পরিচিতি করা হচ্ছে।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, জিয়া এবং খালেদা জিয়া নিস্ক্রিয়তার কারণে মায়ানমার বলতে সাহস পেয়েছে যে রোহিঙ্গারা বাঙ্গালী। কিন্তু আমাদের নেতা শেখ হাসিনা কুটনীতি কত প্রকার কি কি তা সারা পৃথিবীকে দেখিয়েছেন, আমাদের আগের সরকারগুলোকে দেখিয়েছেন। তিনি সারা পৃথিবীকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন যে রোহিঙ্গারা মায়ানমারের নাগরিক। আমরা মানবতার খাতিরে তাদের আশ্রয় দিয়েছি। তাই আজ, আমেরিকা, চীন, রাশিয়া তুরস্ক বলেছে মায়ানমার খারাপ কাজ করেছে। সারা পৃথিবীতে তারা একঘরে হয়ে গেছে। তাদের জেনারেলরা আজ পৃথিবীর কোথাও বুক ফুঁলিয়ে যেতে পারে না। তাদের সবাই ছি ছি দূর দূর করে। এখানেই শেখ হাসিনার সফলতা। তিনি দেখিয়েছেন নেতৃত্ব কাকে বলে। সমাবেশে মন্ত্রীর সাথে শেরপুরের জেলা প্রশাসক . মল্লিক আনোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম, নকলার ইউএনও রাজিব সরকার, উপজেলা চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সোহাগ, পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান লিটন, উপজেলা লীগ সভাপতি অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিন মন্ত্রী গনপদ্দি, বানেশ্বর্দী, চন্দ্রকোনা, পাঠাকাটা, টালকী, চর অষ্ট্রধর ইউনিয়নে ৫১টি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ৫১০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে থ্রি-পিছ, নবম শ্রেণীর ৪৮০ জনকে শাড়ী এবং দশম শ্রেণীর ৪৮০ জনকে দুধ খাওয়ার জন্য নগদ ৫শ করে টাকা দেন। এছাড়া ওই ইউনিয়নের প্রতিটিতে ৭৮০ জন দরিদ্র নারীকে ১টি করে শাড়ী, ১শ যুবককে শার্ট প্রতি ইউনিয়নে ১৮০ জন তরুণকে ট্রাউজার গেঞ্জি প্রদান করেন



 
Top