সঞ্জয় ব্যানার্জী, দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
আলেয়া বিবির বাড়ি দশমিনা উপজেলার রণগোপালদী ইউনিয়নের যৌতা গ্রামে। ২২ বছর আগে থেকে দিন মজুর স্বামী মোশারেফ খলিফা ও সন্তানসহ কষ্টে কাটছিল আলেয়া বিবির। প্রতিবেশীদের বাড়ীতে কাজ করে সন্তান সাবিনা, সজল ও শারমিনদের একবেলা-দু'বেলা খাওয়াতে হয়েছে। বড় ও মেঝ সন্তান শিক্ষার আলোয় আলোকিত হতে না পারলেও সরকারের উপবৃত্তি সুবিধা পেয়ে শারমিন আজ ৮ম শ্রেণি পড়–য়া। মোশারেফের মরহুম বাবা আজাহার খলিফা থেকে প্রাপ্ত স্থানীয় ৩ কড়া জমিতে খুপড়ি ঘর করে একঘুগের বর্ষা মৌসুমের দিনগুলি গুনে পার করেছে। স্বপ্ন ছিল ওই জমিতে একটি ঘর করবেন। কিন্তু নুন আনতে পানতা ফুরায় যার দশা, তার আবার স্বপ্ন পূরণ? স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে আসলো বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সবার জন্য বাসস্থান প্রতিশ্রুতি 'যার জমি আছে ঘর নেই তার নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণ' প্রকল্পের আওতায় নাম দিয়ে দেন সাবেক বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী আলহাজ¦ আ.খ.ম জাহাঙ্গীর হোসাইন এমপি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ২৯৭ বর্গ ফুটের সেমিপাকা ঘর ও স্বাস্থ্য সম্মত ল্যাট্রিন পায় আলেয়া। তাদের মতো আউলিয়াপুরের তিন সন্তানের জননী ডালিম বিবি, যৌতার সোহেল, চরবোরহানের প্রতিবন্ধী সাজেদা, বেতাগীর অনীল, চর ঘুনির ঈমাম সিকদার, পূর্ব আলীপুরার জেলে আল-আমিন, বাঁশবাড়িয়ার স্বামী পরিত্যাক্তা সালমা, দশমিনার রিক্সাচালক শুক্কুর, খলিশাখালীর দিনমজুর জসিমসহ ৪৬৭টি পরিবার পাচ্ছেন এই সেমিপাকা ঘর। সরেজমিনে এদের সাথে কথা বললে এ প্রতিনিধিকে জানান, আমাদের বসবাস করার মতো ভালো একটি ঘর ছিল না। সরকার আমাদের একটি ঘর দিয়েছে, ছেলেমেয়ে নিয়ে শান্তিতে বসবাস করতে পারব। আর এ জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই। দোয়া করি তিনি যেন দীর্ঘদিন বেঁচে থাকেন এবং তাঁর দল যেন আবারও ক্ষমতায় এসে দেশের গরিব মানুষদের এভাবে সাহায্য সহযোগীতা করেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজিব বিশ^াস বলেন, এ পর্যন্ত ২৪০টি পরিবার নবনির্মিত সেমিপাকা ঘরে বসবাস শুরু করেছেন। ৩০ জুনের মধ্যেই ৪৬৭টি পরিবার উন্নয়ন বান্ধব সরকারের মাননীয় প্রাধানমন্ত্রী ঘোষিত ঘর বসবাস উপযোগী করে তুলতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মা এন্টারপ্রাইজ নির্মাণ কাজ করছে। 
 
Top