বাংলাদেশের
চাহিদা পূরন করে বিদেশে স্মার্টকার্ড রপ্তানির পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সূত্র
জানায়, ইসি সচিবালয়ের অধীনে আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং এক্সেস টু সার্ভিস- আইডিইএ প্রকল্পের অধীনে নাগরিকদের স্মার্ট কার্ড উৎপাদন ও বিতরণ চলছে, যার মেয়াদ রয়েছে ডিসেম্বর পর্যন্ত।
এর
মধ্যে কয়েকটি দেশ বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট কার্ড নেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তারা
প্রতিটি কার্ড তিন ডলারেরও বেশি মূল্যে কেনার আগ্রহ দেখিয়েছে। সেক্ষেত্রে
বাংলাদেশের উৎপাদন খরচ হতে পারে এক ডলার করে। এ
প্রকল্প বিভিন্ন সময় হুমকির মুখে পরলেও এখন লাভের আশা দেখাচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ঠ সূত্র।
এনআইডি
উইংয়ের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘নয় কোটি স্মার্ট কার্ড উৎপাদন ও পারসোনালাইজেশনের (ভোটারের ব্যক্তিগত তথ্য কার্ডে সন্নিবেশ করা) কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার চেষ্টা চলছে। এরপর
বাকি নাগরিকের কার্ড প্রস্তুত করে। এসব
মেশিন দিয়ে বিদেশে কার্ড রপ্তানি করার সুযোগ পাব আমরা।’
‘আমরা
দ্রুত লোকবল প্রস্তুত করছি, পারসোনালাইজেশন মেশিনও কাজ করছে। ডিসেম্বরের
মধ্যে নাগরিকদের হাতে কার্ড পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করব। বর্তমানে
প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ হাজার কার্ড প্রস্তুত হচ্ছে।’
খোঁজ
নিয়ে জানা গেছে, স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি ও বিতরণের লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ১৪ জানুয়ারি ইসির সঙ্গে ফ্রান্সের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অবার্থুর সঙ্গে ৮১৬ কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি
অনুযায়ী ২০১৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে দেশের ৯ কোটি ভোটারের জন্য স্মার্ট কার্ড তৈরি ও বিতরণের কথা ছিল। এরপর
ওই চুক্তির মেয়াদ ২০১৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
চুক্তির
আড়াই বছরেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি কার্ড না দেওয়ায় তাদের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে ইসি। এখন
নিজেদের জনবল দিয়ে স্মর্ট কার্ড উৎপাদন করছে নির্বাচন পরিচালনা করা কমিশনটি।