ডেস্ক সংবাদ: পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় বিধবা কাননবালার জমি দখল ও  ওড়নায় হাত-পা বেঁধে নির্যাতন ঘটনায় বাঁধাসৃষ্টি এবং সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রখ্যাত সাংবাদিক নিপুণ চন্দ্র প্রতিপক্ষর মিথ্যে মামলার শিকার হয়। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সিকদার গোলাম মোস্তফা নিজে বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ (সংশোধনী) ২০১৩ আইনে মামলাটি দায়ের করে নিপুণ চন্দ্রের বিরুদ্ধে। আজ রবিবার ওই মামলায় সাইবার ট্রাইবুন্যাল ঢাকা, বাংলাদেশ আদালতে নিপুণ চন্দ্র তার বাল্যবন্ধু বিজ্ঞ আইনজীবি মোঃ মনিরুজ্জামান মাধ্যমে জামিন প্রার্থণা করলে বিজ্ঞ বিচারক মহোদয় জামিন মঞ্জুর করেন। ওই ঘটনার পরে চলতি মাসের ২৩ তারিখে বর্ধিত সভায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বাদ পরে সিকদার গোলাম মোস্তফা। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবার পরে দশমিনা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে হামলা চালিয়ে দুই শিক্ষককে আহত করা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে অনুষ্ঠিত ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামীলীগের বিক্ষোভ মিছিলে হামলা করা, আদালত চত্বরে মোয়ক্কেলকে মারধর করে আহত করা, বিধবা কানন বালার জমি দখল, ১৫ই আগষ্ট পালন অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপরে হামলা মতো ঘটনা ঘটায়। এসব ঘটনার সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিক নিপুণ চন্দ্র সিকদার গোলাম মোস্তফার গলার কাঁটা হিসেবে শত্রুতায় জড়িয়ে পরে। দি এশিয়ান এইজ পত্রিকার প্রতিনিধি নিপুণ চন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মিথ্যে মামলা করায় ও নিজেও ১৬ মে ২০১৭ তারিখে মামলা করে। ওই মামলায় নিপুণ চন্দ্রের বিরুদ্ধে চার্জশিট করিয়ে দাখিল করলে নি¤œাদালত মামলার নথি চলতি বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর অগ্রায়ন করে সাইবার ট্রাইবুন্যাল আদালত ঢাকা, বাংলাদেশে প্রেরণ করেন। ওই মামলার নির্ধারিত তারিখে সাংবাদিক নিপুণ চন্দ্র হাজির হয়ে জামিন প্রার্থণা করলে বিজ্ঞ বিচারক জামিন মঞ্জুর করেছেন।

 
Top