নিজস্ব সংবাদদাতা, ফুলতলা(খুলনা)।। ফুলতলা জামিরা গ্রামে গৃহবধু রেক্সোনা বেগম (২৮) কে তার স্বামী গায়ে কেরোসিন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করে। সে গুরুত্বর আহত অবস্থায় এখন ফুলতলায় হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। ঘটনার ১৮ দিন অতিবাহিত হলেও থানায় এখনও  কোন মামলা হয়নি। তবে গতকাল মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে পুলিশের একটি সুত্র জানায়। ঘটনার পরপরই তার স্বামী পলাতক রয়েছে।
ঘটনার বিবরনে জানা গেছে, উপজেলা জামিরা গ্রামের ওয়াজেদ আলী কন্যা রেক্সোনার সাথে ছাতিয়ানি গ্রামের মোঃ ইউসুফ আলী খানের সাথে বেশ কয়েক বছর আগে বিবাহ হয়। তাদের একটি পুত্র একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। সুত্র মতে, পিতার নিকট থেকে জমি বিক্রয় করে টাকা আনার জন্য প্রায় তাকে চাপ দেওয়া হতো। ঘটনা নিয়ে প্রতিনিয়ত তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকত। য়ার ফলে তারা পার্শ্ববর্তী ছাতিয়ানী গ্রামের আর্জব আলীর বাড়ীতে ভাড়া থাকত। গত ১৯ জুন রাত আনুমানিক ১১টার সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তার স্বামী রেক্সোনাকে বেদম মারধর করে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে দেয়। তার শরীরে মুখ মন্ডল, বুক, পেট সম্পুর্ন জ্বলসে যায়। গুরুত্বর অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। এরপর তাকে কিছু দিন বাড়ীতে গোপনে রাখা হয়। সর্বশেষ গত জুলাই তার ভাই তাকে ফুলতলা হাসপাতালে ভর্তি করে। ফুলতলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মিজানুর রহমান জানান, তার আবস্থা আশংকাজনক। তাকে এই মুহুর্তে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন। অথচ রেক্সোনার পক্ষে কোন লোকজন তেমন কোন গুরুত্ব দিচেছ না বলে তিনি জানান। দিকে থানার এস.আই খায়রুল আলমের সাথে যোগাযোগ তিনি জানান মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
 
Top