কামরূপ কামাখ্যায় আধ্যাত্মিক সাধনা কিংবা ভূত-প্রেত নিয়ে মানুষের গল্পের শেষ নেই। কেউ কেউ ২০ বছর ৪০ বছর ধরে সেখান থেকে দীক্ষা লাভ করেন। কেউ আবার সারা জীবন কামরূপ কামাখ্যায় কাটিয়ে শেষ বয়সে নিজেকে জনকল্যাণে নিযুক্ত করেন। অনেকে নিজেকে শত বছরেরও বেশি বয়সী বলে দাবি করেন। তবে তাদের মুখশ্রী দেখে সে বিষয়ে অনুমান করার কোনো জো নেই। কারণ দীক্ষা গ্রহণকারী সবারই দাবি তারা নাকি জাদুবিদ্যার প্রয়োগে বয়স নিয়ন্ত্রণ করেন। মূলত এই শ্রেণির মানুষগুলো বছরের পর বছর কামরূপ কামাখ্যা সম্পর্কে নানা ভয়ঙ্কর বিষয় প্রচার করে আসছে। যেমন- কামরূপ কামাখ্যা এক ভয়ঙ্কর জায়গা ওখানে পৌঁছালে আর ফিরে আসা যায় না।  বছরের পর বছরের সাধনা আর ত্যাগের পরই মুক্তি সম্ভব। আবার জাদুটোনা, জাদু তন্ত্র-মন্ত্রের দেশ কামরূপ কামাখ্যার আশপাশে অরণ্য আর নির্জন পথে দেখা যায় ভূত-পেত্নী আর ডাকিনী-যোগিনীর। এরা সবারই নাকি জাদুবিদ্যায় বিশেষ পারদর্শী। কামরূপ কামাখ্যা নারীশাসিত পাহাড়ি ভূ-খণ্ড। সেখানকার নারীরা ছলাকলা কামকলায় ভীষণ পারদর্শী। কামরূপ কামাখ্যার ডাকিনী নারীরা পুরুষদের মন্ত্রবলে ভেড়া বানিয়ে রাখে বলেও গল্প প্রচলিত।কামরূপ কামাখ্যায় আধ্যাত্মিক সাধনা কিংবা ভূত-প্রেত নিয়ে মানুষের গল্পের শেষ নেই। কেউ কেউ ২০ বছর ৪০ বছর ধরে সেখান থেকে দীক্ষা লাভ করেন। কেউ আবার সারা জীবন কামরূপ কামাখ্যায় কাটিয়ে শেষ বয়সে নিজেকে জনকল্যাণে নিযুক্ত করেন। অনেকে নিজেকে শত বছরেরও বেশি বয়সী বলে দাবি করেন। তবে তাদের মুখশ্রী দেখে সে বিষয়ে অনুমান করার কোনো জো নেই। কারণ দীক্ষা গ্রহণকারী সবারই দাবি তারা নাকি জাদুবিদ্যার প্রয়োগে বয়স নিয়ন্ত্রণ করেন। মূলত এই শ্রেণির মানুষগুলো বছরের পর বছর কামরূপ কামাখ্যা সম্পর্কে নানা ভয়ঙ্কর বিষয় প্রচার করে আসছে। যেমন- কামরূপ কামাখ্যা এক ভয়ঙ্কর জায়গা ওখানে পৌঁছালে আর ফিরে আসা যায় না। 
তবে আধুনিক মানুষের গবেষণায় এসব গল্প ধোপেই টিকে না। প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ কেবল ভ্রমণ পিপাসা মিটানোর জন্য সেখানে ভ্রমণ করেন।
ব্ল্যাক ম্যাজিক চর্চা কিংবা সাধু সন্ন্যাসীদের অদ্ভুতুড়ে জীবনাচার ছাড়া তারা কেউই কোনো রহস্যের দেখা পাননি। তাই ছোটবেলা থেকে শুনে আসা জাদু-টোনা মন্ত্র-তন্ত্রের ব্যাপার-স্যাপারের সঙ্গে কামরূপ কামাখ্যা বা এই মন্দিরের কোনো যোগসূত্র নেই। যেটুকু আছে সেটুকু কেবল মন্দিরের পাশঘেঁষে গড়ে ওঠা জনপদ কিংবা সুবিধাবাদী শ্রেণির বাণিজ্যিক প্রোপাগান্ডা ছাড়া আর কিছুই নয়।

