নীলফামারীর ডিমলায় সহায় সম্বল হারিয়ে এক মা বোনের বাড়ীতে আশ্রয় নিয়ে অতি কষ্টে জীবন যাপন করে ছেলের পড়ালেখার খচর বহন করছেন । লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম গ্রামের কামরুজ্জামানের স্ত্রী মোছাঃ
ফাহিমা বেগম (৬০) থাকার জায়গা খাবারের নিশ্চয়তা না থাকলেও সন্তানকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য ডিমলা উপজেলার কালীগঞ্জ গ্রামে বোনের বাড়ীতে আশ্রয় নিয়ে বাড়ী বাড়ী গৃহ পরিচালিকার কাজ করে সন্তানের পড়ালেখার খরচ বহন করছেন। ফাহিমা বলেন, গত প্রায় পাঁচ বছর আগে সহায় সম্বল যতটুকু ছিলো তা বিক্রি করে মানুষের জায়গায় থেকে বড় ছেলে শাহারুখ খানকে সিঙ্গাপুরে পাঠান সেখানে ছয়মাস থাকার পর শাহারুখ রোড এ্যাসিডেন্ট করেন।
তারপর কোন রকমে সুস্থ হয়ে শাহারুখ বাড়ী ফিরে আসেন। একমাত্র কর্মক্ষম ছেলে অসুস্থ হয়ে পরে থাকলে ফাহিমা বৃদ্ধ স্বামী সন্তান নিয়ে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করেন। উাহিমার ছোট ছেলে মারুফ রংপুর কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্র তারপড়ালেখার খরচ চালাতে স্বামী কামরুজ্জামান ও বড় ছেলে শাহারুখ খানকে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম গ্রামে রেখে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার কালীগঞ্জ গ্রামে বোনের বাড়ীতে এস আশ্রয় নেন ফাহিমা। সেখানে থেকে ছোট ছেলেকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার আশায় ষাট বছর বয়সেও এ বাড়ী ও বাড়ী ঝিয়ের কাজ করে ও বিভিন্ন লোকের কাছে সাহায্য নিয়ে তার পড়ালেখার খরচ চালিয়ে যাচ্ছেন। ফাহিমা সন্তানের পড়ালেখার খরচের জন্য ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সকলের নিকট যাকাত ফিতরার জন্য মানবিক আবেদন জানিয়েছেন। ফাহিমাকে সাহায্যের পাঠানোর জন্য (বিকাশ) নাম্বার ০১৭৬২৯২১৮০৪।
 
Top