আর
প্রায় তিন সপ্তাহ পর পাকিস্তানে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে
২৫ জুলাইয়ের ওই নির্বাচনের আগে এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেছেন পাঞ্জাব প্রদেশের সাবেক মন্ত্রী ও পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এর প্রার্থী হারুন সুলতান।
সুলতান
বলেছেন, নারী প্রার্থীকে ভোট দেয়া হারাম। সুলতান
যে আসন থেকে নির্বাচন করছেন সেখানে তার প্রতিদ্বন্দ্বী তেহরিক-ই-ইনসাফের জেহরা বাসিত সুলতান বুখারি। যিনি
আবার সুলতানের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়াও বটে। কিন্তু
তার বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাতে গিয়েই এমন মন্তব্য করেছেন সুলতান। খবর
দ্য হিন্দুর।
মুজাফফরগরে
নিজের নির্বাচনী এলাকায় ভাষণ দেয়ার সময় সুলতান বলেন, তিনি ধর্মীয় নিয়ম মেনে চলবেন এবং কোনও নারী প্রার্থীকে ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকবেন। কারণ
এটিকে ইসলামে হারাম হিসেবে গণ্য করা হয়। গত
নওয়াজ সরকারের আমলে পাঞ্জাবের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা সুলতান বলেন, আমি আল্লাহ ও তার রাসুলের হুকুম মেনে চলবো এবং যাতে এর ব্যতিক্রম না ঘটে সেটি থেকে নিজেকে বিরত রাখবো।
একই
আসনে পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা নওয়াজ ইফতিখার খান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সাংবিধানিকভাবেই
পাকিস্তানের প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের ভোট দেয়ার অধিকার রয়েছে। কিন্তু
পুরনো নিয়মকানুন দেখিয়ে লাখ লাখ নারীকে ভোট দেয়া থেকে বিরত রাখে সেখানকার পুরুষরা।
এদিকে পাকিস্তান মুসলিম লীগের শীর্ষ নেতা নওয়াজ শরিফ। পানামা পেপারস কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে ইতোমধ্যেই দেশছাড়া তিনি। যদিও ভোটের আগেই আদালতে হাজিরা দিতে পাকিস্তানে আসতে হবে নওয়াজকে।