গত পাঁচ বছরে যুক্তরাষ্ট্র মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ যেসব দেশের নাগরিককে গ্রিনকার্ড দিয়েছে সেই তালিকায় বাংলাদেশের স্থান তৃতীয় । ওয়াশিংটন ফ্রি বিকন নামের একটি মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলো থেকে আরো ৬ লাখ ৬০ হাজার অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র গ্রিনকার্ড দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছে সিনেটের উপকমিটি। হোমল্যান্ড সিকিউরিটির পরিসংখ্যান উল্লেখ করে মার্কিন সিনেটের অভিবাসন বিষয়ক উপকমিটি জানিয়েছে, ২০০৯-২০১৩ সাল পর্যন্ত এই পাঁচ বছরে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলো থেকে মোট ৬ লাখ ৮০ অভিবাসীকে গ্রিনকার্ড দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গ্রিনকর্ড পেয়েছে পাকিস্তান ও ইরাক। দেশ দুটির ৮৩ হাজার করে অভিবাসী গ্রিনকার্ড পেয়েছেন। এর পরের অবস্থানে থাকা বাংলাদেশের ৭৫ হাজার অভিবাসী গ্রিনকার্ড পেয়েছেন। তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে ইরান । দেশটির ৭৩ হাজার অভিবাসী গ্রিনকার্ড পেয়েছেন । শীর্ষস্থানীয় এই চারটি দেশ ছাড়াও আরো তিন ডজনের বেশি মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের অভিবাসীদের গ্রিনকার্ড দেওয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে মিশর ৪৫ হাজার, সোমালিয়া ৩১ হাজার, উজবেকিস্তান ২৪ হাজার, তুরস্ক ২২ হাজার, মরক্কো ২২ হাজার, জর্ডান ২০ হাজার, আলবেনিয়া ১৬ হাজার, লেবানন ১৬ হাজার, ইয়েমেন ১৬ হাজার, ইন্দোনেশিয়া ১৫ হাজার, সিরিয়া ১৪ হাজার, সুদান ১৩ হাজার, আফগানিস্তান ১১ হাজার, সিয়েরা লিওন ১০ হাজার, গিনি ৮ হাজার , সেনেগাল ৭ হাজার, সৌদি আরব ৭ হাজার, আলজেরিয়া ৭ হাজার, কাজাকিস্তান ৭ হাজার, কুয়েত ৫ হাজার, গাম্বিয়া ৫ হাজার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ৪ হাজার, আজারবাইজন ৪ হাজার, মালি ৩ হাজার, বুরকিনা ফাসো ৩ হাজার, কিরগিস্তান ৩ হাজার, কসোভো ৩ হাজার, মৌরতানিয়া ২ হাজার, তিউনিসিয়া ২ হাজার, তাজিকিস্তান ২ হাজার ও লিবিয়ার ২ হাজার অভিবাসীকে গ্রিনকার্ড দেওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহেই ক্যালিফোর্নিয়ায় এক মুসলিম দম্পতির গুলিতে ১৪ জন প্রাণ হারায়। ধারণা করা হচ্ছে ওই দম্পতি ইসলামী কট্টরপন্থায় উদ্বুদ্ধ ছিল। এরপরই দেশটির রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমানদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার দাবি জানান। তবে ট্রাম্পের এই বিবৃতি প্রকাশের পরপরই রিপাবলিকান পার্টিতে সমালোচনার ঝড় ওঠে।