চোরাই গাছ বিক্রি চেষ্টার পরে অফিসের সামনে রাখা হয়েছে।
দশমিনা (পটুয়াখালী)  প্রতিনিধি::
উপকূলীয় বন বিভাগ পটুয়াখালীর দশমিনা রেঞ্জ কর্মকর্তা বন রক্ষণের নামে ভক্ষণ করছে। ও ঘটনার মোড় ঘুড়াতে প্রতিবাদীদের নামে মিথ্যে মামলা দায়ের করায় জনসাধারণ রয়েছে চরম ভোগান্তিতে।

দশমিনা রেঞ্জ ভারপ্রাপ্ত অফিসারের দায়ের করা মোকদ্দমা (০২-দশ-অব/০১-হায়দার অব সিআর- ১৫৫/১৮) বিবরণে জানা গেছে, উপজেলার চর হায়দার এলাকার সংরক্ষিত বন ভূমিতে অনধিকার প্রবেশ করতঃ বাড়ীঘর নির্মাণ ও বনভূমি জবর দখলের অপচেষ্টা করছে পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার মৃত ইয়াছিন মৃধার ছেলে মোঃ সুলতান, মৃত হাসেম বেপারীর ছেলে মোঃ আজাহার বেপারী, মোঃ বাদশা মিয়ার ছেলে মোঃ আনিছ, মোঃ ইমন হোসেন বেপারীর ছেলে মোঃ মনির বেপারী, আজাহার চৌকিদারের ছেলে কবির চৌকিদার, সেকান্দার হাওলাদারের ছেলে নেছার উদ্দিন, মোঃ আজাহার বেপারীর ছেলে মোঃ রফিজ ব্যাপারী, বাউফল উপজেলার ফজলুল হক প্যাদার ছেলে মোঃ ফারুক প্যাদা, মোঃ আঃ রব হাওলাদারের ছেলে মোঃ মনির হাওলাদার, ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার মোঃ অজুত আলী মাঝির ছেলে মোঃ জলিল মাঝি ও হাফেজ মাস্টারের ছেলে শাহআলম মাস্টার প্রমূখ।
গাছ চুরি অভিযোগ উঠলে এসব গাছ দিয়ে ট্রলার তৈরী করা হয়।
আসামীরা চরহায়দার মৌজার জেএল নং- ১৪৪ সিট নং- ১, ২ এর ২২৯৫ একর জমি মধ্যে দখল করে বাড়িঘর নির্মাণ করে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেঁটে বনের ক্ষতি সাধান করেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করলেও আসামীদের বক্তব্য ভিন্ন। আসামীরা জানায়, উপজেলার ভূমিহীন কৃষকরা চর আজমাইন মৌজার জেএল নং- ১৫২/১৪৪ সিট নং- ১, ২ এর সরকার থেকে প্রতি নামে দেড় একর জমি বন্দোবস্ত নিয়ে বাসাবাড়ী নির্মাণ করে ভোগদখলে আছি। চর আজমাইনে চাষাবাদ করে ফসল ফলাই। বিভিন্ন সময়ে বন কর্মকর্তা বিভিন্ন অজুহাতে মামলা মোকদ্দমার ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করে থাকে। উপজেলা বন কর্মকর্তা চর আজমাইনকে বনভূমি চর হায়দারের অংশ দাবি করে আসছে। কিন্তু বিষয়টা ভূমি অফিসের সাথে কোন যোগাযোগ ছাড়াইয় জনসাধারণকে অযথা ক্ষতির লক্ষে বন কর্মকর্তা মামলা দায়ের করে থাকেন। 
এদিকে, আসামী পক্ষের অভিযোগ দশমিনা রেঞ্জ কর্মকর্তা কিছুদিন পূর্বে ডাল কর্তণ অনুমতি নিয়ে দক্ষিণ দাসপাড়া এলাকায় অতিমুল্যমানের ৩২টি আকাশমনি ও শিশু গাছ গোড়াসহ কর্তণ করে বিক্রির উদ্দেশ্যে স্বমিলে জমা করে। ওই গাছ স্থানীয় উপকারভোগীরা ধরে ফেললে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহের জন্য এমন মিথ্যে মামলা দায়ের করেছেন বলেও ভুক্তভোগীরা এ প্রতিনিধিকে জানায়। তাছাড়া সংরক্ষিত বন এলাকার খালে হাজার হাজার ঝাউ দেখা যায়। এসব ঝাউ নির্মাণে বনের গাছ বিক্রি করে থাকে বন কর্মকর্তা। যাহা উর্দ্ধতনরা সরেজমিনে পরিদর্শণে আসলে দৃশ্যমান হবে। 
প্রায়শঃ বাগানের গাছ উধাও হয়ে যায় বন কর্মকর্তার যোগসাঁজশে।
এ ঘটনায় মুঠোফোনে দশমিনা রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদ ঈশা বলেন, চর হায়দার বন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ গোলাম মোস্তফা ঘটনা যেভাবে লিখে দিয়েছে আমি সেই লেখা সরকার পক্ষে আদালতে উপস্থাপন করেছি। এর বেশি কিছু আমার জানা নাই। আসামীদের দাবীকৃত বক্তব্য বিষয়ে তিনি আরও বলেন, চর হায়দারে আমি কখনো চাকুরী করি নাই। চর আজমাইন, গাছ কেঁটে ঝাউ সৃষ্টি বিষয়ে তার কিছু জানা নেই বলে এ প্রতিনিধিকে জানায়।

 
Top